প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কে মানুষের চেতনার প্রসারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উদ্যোগ।

 

 

ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা এবং ভুমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগের হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া সম্ভব সেই বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়েছে ‘সেন্টার ফর ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কীভাবে রক্ষা পেতে পারে এবং সেই বিষয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধিই এই সেন্টারের উদ্দেশ্য বলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সেন্টার ফর ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের প্রধান ডঃ গোপীনাথ ভান্ডারি thebengalstory.com কে জানান, ‘আমাদের দেশে আবহাওয়া ও দুর্যোগ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ হলেও তা অনেক সময়ই প্রান্তিক স্তরে পৌঁছয় না। এর ফলে সেই স্তরে থাকা মানুষকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বিভিন্ন সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়। সেই কারণে বিভিন্ন ওয়ার্কশপের মাধ্যমে সমস্ত স্তরের মানুষের মধ্যে যাতে সচেতনতার প্রসার ঘটানোর যায়, সেই উদ্দেশ্যেই সুন্দরবনসহ একাধিক জায়গায় আমরা কাজ করছি। আগামী দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আভাস যাতে আগে থেকে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে একটি ডিজাস্টার ওয়ার্নিং সিস্টেম গড়ে তোলা হবে। যার মধ্যে থাকবে ‘সেলফ ওয়ার্নিং সিস্টেম’। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী দিনে স্যাটেলাইট ইমেজকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক এলাকায় এবং পরবর্তীকালে পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি অথবা দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে’।

ডঃ গোপীনাথ ভান্ডারি

ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সেন্টারটি গত বছর অগাস্ট মাসে অনুমোদন লাভ করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন তাঁরা করেছেন। সেন্টারের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর ডিসেম্বরে তাঁরা আরও একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করতে চলেছেন, যার বিষয়বস্তু হল ‘হেলথ মনিটরিং অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন স্ট্রাকচার’। যেখানে ‘নন ডেসট্রাকটিভ টেস্ট’ অর্থ্যাৎ ধ্বংসাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে একটি পরিকাঠামোকে বাঁচাতে সেটির গুণমানগত পরীক্ষার মাধ্যমে কোন অবস্থায় রয়েছে তা নির্ণয় করা যাবে। সরকারি প্রশাসনিক সংস্থা বিশেষ করে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর থেকে শুরু করে বিশ্ব ব্যাঙ্ককেও এই উদ্যেগে শামিল হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.