প্লেনের মতো দেশের প্রথম বেসরকারি ট্রেন তেজস এক্সপ্রেসেও ডায়নামিক ফেয়ার, চাহিদা অনুযায়ী বাড়বে-কমবে ভাড়া

দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেস ও আহমেদাবাদ-মুম্বই তেজস এক্সপ্রেসের হাত ধরে প্রথম ট্রেন বেসরকারিকরণ করেছে মোদী সরকার। আইআরসিটিসির হাতে তুলে দেওয়া এই এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি, যাত্রী স্বাচ্ছন্দের উপর জোর দিয়ে অনেকটা বিমানের মতো সুযোগ-সুবিধার বন্দোবস্ত করেছে। দেশের প্রথম বেসরকারি ট্রেনের টিকিটের দামও করা হচ্ছে অনেকটা বিমান ভাড়ার ধাঁচেই।
সূত্রের খবর, দিল্লি-লখনউ তেজস এবং আহমেদাবাদ-মুম্বই তেজস এক্সপ্রেসে উড়ান পরিষেবার মতোই চাহিদা অনুযায়ী টিকিটের দাম বাড়তে বা কমতে পারে। একই রুটে বিমান খরচের ৫০ শতাংশ হতে চলেছে তেজসের ভাড়া, একথা শোনা গেলেও আইআরসিটিসি সূত্রে খবর, শতাব্দী এক্সপ্রেসের তুলনায় ‘একটু’ বেশিই খরচ পড়বে তেজস এক্সপ্রেসে। আইআরসিটিসির এক আধিকারিকের কথায়, দিল্লি-লখনউ তেজস এক্সপ্রেস ও আহমেদাবাদ-মুম্বই তেজস এক্সপ্রেসের ভাড়া হবে শতাব্দী এক্সপ্রেসের চেয়ে একটু বেশি এবং ‘ডায়নামিক’। সেখানে বিমানের মতোই চাহিদা অনুযায়ী বাড়বে-কমবে টিকিটের দাম। আইআরসিটিসির ওই আধিকারিক জানান, রেল মন্ত্রক টিকিটের দাম নির্ধারণের জন্য তাঁদের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই মতো একটি খসড়া জমা দেওয়া হয়েছে রেল মন্ত্রককে। তাতে সই হলেই নতুন তেজস এক্সপ্রেসের ভাড়া ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি, স্টেশনে পৌঁছতে ১ ঘন্টার বেশি দেরি হলে যাত্রীরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভাড়ায় ছাড় পাবেন বলে আগেই জানা গিয়েছিল। সেই সময়ে তাঁদের অতিরিক্ত স্ন্যাক্সের ব্যবস্থাও করা হবে। শৌচাগারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বিমানের স্টাইলে। আইআরসিটিসি কর্তৃপক্ষের মতে, বিমানে ১৫০ জন যাত্রীর জন্য সাধারণত ৩ টি শৌচাগারের বন্দোবস্ত থাকে। সেইভাবে, তেজসের প্রত্যেক কোচে ২ টি করে আধুনিক শৌচাগার থাকবে। আর বাকি দুটি শৌচাগারের জায়গায় প্যান্ট্রি করার পরিকল্পনা নিয়েছে আইআরসিটিসি।
অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে তোলা দিল্লি-লখনউ ও আহমেদাবাদ-মুম্বই তেজস এক্সপ্রেসের প্রত্যেকটি আসনের পাশে থাকছে মোবাইল ফোনের চার্জিং পয়েন্ট, ওয়াই-ফাই পরিষেবা, অত্যাধুনিক বায়ো টয়লেট, কোয়ালিটি ক্যাটারিং, মিটিংয়ের জন্য বিশেষ বোর্ড রুম, বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। টিকিট পরীক্ষকের দায়িত্বে থাকবেন বেসরকারি কর্মী। আইআরসিটিসির পরিচালনায় কয়েক মাসের মধ্যেই দুই তেজস এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হবে।

Comments are closed.