কৃষক আন্দোলনে উত্তাল দিল্লি, একমঞ্চে ইয়েচুরি, রাহুল, কেজরিওয়াল, শারদ যাদব, শারদ পাওয়ার, ফারুক আবদুল্লা

‘অযোধ্যা নেহি, কর্জি মাফ চাহিয়ে’ অর্থাৎ, ‘অযোধ্যা নয়, ঋণ মুকুব করা হোক’ কৃষকদের এই স্লোগানে শুক্রবার কার্যত স্তব্ধ হল দিল্লির রাজপথ। কৃষি ঋণ মুকুব ও ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে সংসদ ভবন অভিযান শুরু করে বাম কৃষক সংগঠঙ্গুলি। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত কয়েক হাজার কৃষক এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তামিলনাড়ুতে আত্মঘাতী দুই কৃষকের মাথার খুলি নিয়ে আন্দোলন যোগ দেন সেই রাজ্য থেকে আসা কৃষকরা। কৃষকদের দাবির সমর্থনে এদিন তাদের আন্দোলনের মঞ্চে পৌঁছোন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, আম আদমি পার্টি নেতা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শারদ যাদব, শারদ পাওয়ার, ফারুক আব্দুল্লাসহ ২১ দলের নেতা।
কয়েক হাজার কৃষক ও আত্মঘাতী কৃষকদের স্ত্রীরা স্বামীর ছবি নিয়ে এদিন রাজধানীর পথে নামেন। অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত কৃষকদের গত রাত কেটেছে রামলীলা ময়দানে। শুক্রবার নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে সংসদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। কৃষকদের দাবি, শীঘ্র সংসদে তাঁদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে বিল আনুক সরকার। যাতে ঋণ মুকুব ও শস্যের ন্যায্য দাম পান তাঁরা। দাবি নিয়ে একাট্টা কৃষকেরা জানান, নিজেদের সমস্যা সমাধানের জন্য দরকারে আরও কয়েক দিন রাজপথে হাঁটতে তাঁরা রাজি আছেন। মধ্যপ্রদেশ থেকে আগত এক আখ চাষির কথায়, ‘স্ত্রী ও সন্তান বলেছে দাবি মিটিয়ে বাড়ি ফিরতে। দরকারে ৭ দিন দিল্লিতে আন্দোলন করব।’
শুক্রবার কৃষকদের আন্দোলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, দেশের সামনে এখন দুটো বড় চ্যালঞ্জ – এক কৃষকদের ভবিষ্যৎ আর দুই, যুবকদের বেকারি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দিয়ে রাহুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি দেশের বড় শিল্পপতিদের ঋণ মুকুব করতে পারেন তবে কৃষকদের ঋণ কেন মুকুব করবেন না! সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোগ, কৃষকদের স্বার্থ বারবার বিপন্ন হচ্ছে এই কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে, আর বিজেপি ভোট এলেই রাজনৈতিক স্বার্থে খুঁচিয়ে তুলছে মন্দির ইস্যু।

Comments are closed.