যাত্রা শুরু হয়েছিল গত বছর। সম্প্রতি তা আরও সম্প্রসারিত হল। কলকাতাকে ক্ষুধামুক্ত করতে এবং শহরের নিরাশ্রয়, ভবঘুরে মানুষদের মুখে দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন আসিফ আহমেদ। আসিফ পেশায় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে তাঁদের রেস্তোরাঁ চেন ‘সাঞ্ঝা চুলা’। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে পার্ক সার্কাসের কাছে সিআইটি রোডে, কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে একটি ফুড এটিএম বসিয়েছিলেন আসিফ। উদ্দেশ্য রেস্তোরাঁর বেঁচে যাওয়া অতিরিক্ত খাবার নষ্ট না করে এই ফুড এটিএমে জমা রাখা। যাতে তা শহরের নিরাশ্রয়, নিরন্ন মানুষগুলির কাছে পৌঁছোয়। পরে এই ফুড এটিএমের কথা জানতে পেরে, এলাকার অনেক সাধারণ মানুষও এগিয়ে আসেন। তাঁরাও নিজেদের বাড়ির বেঁচে যাওয়া খাবার জমা দিতে শুরু করেন এই ফুড এটিএমে।
সম্প্রতি আসিফ আহমেদের রেস্তোরাঁর উদ্যোগে শহরের আরও দুই প্রান্তে বসেছে এই ফুড এটিএম। মৌলালীর রামলীলা ময়দান এবং ইস্টার্ণ মেট্রোপলিটন বাইপাসে ‘সাঞ্ঝা চুলা’ রেস্তোরাঁর কাছেই বসানো হয়েছে এই দুই ফুড এটিএম। আসিফ জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্যোগের কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই বহু সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসেছেন। তাঁরাও খাবার জমা দিচ্ছেন এই এটিএম গুলিতে। দিনে গড় ১০ থেকে ১০০ জন নিরন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এই খাবার। আসিফ জানিয়েছেন, এই ফুড এটিএম আসলে একটি লম্বা ফ্রিজ। সেখানেই জমা রাখা হচ্ছে খাবারগুলি। প্রতিটি ফুড এটিমের কাছে থাকছেন তাঁদের সহায়করা। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেউ খাবার দিতে এলে, তাঁর নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর লিখে নিয়ে তা জমা নেওয়া হচ্ছে। কেউ খাবার চাইতে এলে সেখান থেকেই তাঁকে তা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আসিফ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে শহরে আরও ফুড এটিএম গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।