জম্মু-কাশ্মীরে অশান্তির জন্য দায়ী রাজনৈতিক দলগুলিঃ রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক

উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য পরোক্ষে দায়ী রাজ্যের রাজনৈতিক নেতারা, এমনই মন্তব্য করলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।
তাঁকে রাজনীতি না করে জম্মু-কাশ্মীরের কাজে মন দিতে পালটা পরামর্শ ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার।
বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের আখনুরের একটি সভায় রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বলেন, রাজ্যের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল দুর্নীতি। আর এই সমস্যার জন্য তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, রাজ্যের ক্ষমতা না বাড়িয়ে মুফতিরা নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে চিন্তিত।
ওই সভায় সত্যপাল মালিক আরও বলেন, রাজ্যের দুর্নীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, একটা ফাইল বের করতে কর্মচারীদের চার মাস সময় লেগে যায়। বিগত ১৫ বছরে দুর্নীতি চেপে বসেছে জম্মু-কাশ্মীরে। মালিকের আরও অভিযোগ, রাজ্যের স্বার্থে তিনি প্রোটোকল ভেঙে পিডিপি প্রধান মেহেবুবা মুফতি ও এনসি প্রধান ওমর আবদুল্লাকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বলেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউই রাজি হননি। কারণ তাঁরা কেবল নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে ভাবেন, রাজ্য নিয়ে ভাবিত নন। দুই দলকে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। এতেই থামেননি রাজ্যপাল। জম্মু-কাশ্মীরের সাম্প্রতিক অশান্তির জন্য পরোক্ষে মেহেবুবা মুফতির ও ওমর আবদুল্লার দলকে কাঠগোড়ায় তুলেছেন তিনি। সত্যপাল মালিক বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা চান না শান্ত থাকুক উপত্যকার পরিস্থিতি। তাঁরা চান উপত্যকার যুবকদের এভাবে মৃত্যু হোক, যাতে তাঁরা দিল্লি সরকারকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করতে পারেন। হুরিয়ত, পিডিপি ও এনসি নেতাদের বোঝা উচিত এই ‘বন্দুক কালচার’ আদতে তাঁদের কোনও লক্ষ্যই পূরণ করবে না। পাশাপাশি, মোদী সরকারের প্রশস্তি করে রাজ্যপাল বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার উপত্যকার শান্তি রক্ষায় যথাযথ চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকী রাজ্যের মানুষও সেনাবাহিনীর ওপর আস্থাশীল। কিন্তু ওই রাজ্যের এবং দিল্লির কয়েকজন নেতা রাজনৈতিক স্বার্থে এই চেষ্টা ব্যাহত করছেন। তাঁরা মানুষকে মিথ্যে স্বাধীনতার লোভ দেখিয়ে স্বাধীনতা বিক্রি করতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল।
তাঁর এই বক্তব্যের পরেই ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের প্রধান ওমর আবদুল্লা মেহেবুবা মুফতির পাশে দাঁড়িয়ে, রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন। তিনি ট্যুইটে লেখেন, অনুগ্রহ করে বিদ্রুপপূর্ণ বার্তা দেবেন না। রাজনীতি বন্ধ করে রাজ্যের কাজে তাঁকে মনোযোগ দিতে পরামর্শ দেন ওমর আবদুল্লা।

Comments are closed.