২৬/১১ হামলার মূল চক্রী ও জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি) প্রধান হাফিজ সইদকে দু’টি সন্ত্রাসের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল পাকিস্তানের সন্ত্রাস বিরোধী আদালত। এ নিয়ে চলতি বছরে চতুর্থবার দোষী সাব্যস্ত হল হাফিজ। আদালতের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, লাহোরের সন্ত্রাস বিরোধী আদালত জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান-সহ ৪ জনকে আরও দু’টি মামলায় সাজা দিয়েছে। হাফিজ সইদ ও তার দুই সহযোগী জাফর ইকবাল ও ইয়াহা মুজাহিদকে সাড়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হাফিজের শ্যালক আবদুল রেহমান মাক্কিকে দেওয়া হয়েছে ৬ মাসের কারাবাস।
গত বছর জুলাই মাসে হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই প্রথম নয়, এর আগে সন্ত্রাসে অর্থ জোগানের মামলায় জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান ও তার সহযোগীদের ১১ বছরের কারাবাস দিয়েছে পাক আদালত। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল কাণ্ডারী হাফিজ সইদকে আগেই ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও আমেরিকা। আমেরিকা তাঁর মাথার দাম ধার্য করে ১ কোটি ডলার। এদিকে গত বছর জুলাইতে জঙ্গিদের অর্থ যোগানের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় হাফিজকে। লাহোরের কোট লাখপত জেলে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে তাকে।
বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী কাজকর্মে অর্থ জোগান রুখতে কড়া পদক্ষেপ করছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)। ভারত মনে করছে, ওই সংস্থার চাপে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে ইসলামাবাদ। গত বছর প্যারিসে FATF-র সদর দফতরে পাকিস্তানি এজেন্সির সন্ত্রাসে অর্থ জোগানের একাধিক নথি জমা দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানকে কালো তালিকাভূক্ত করতে পারে FATF। রেটিং কমার ফলে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার, বিশ্বব্যাঙ্ক, এশিয়ান ব্যাঙ্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনাও ধাক্কা খাবে। ইমরান খানের দেশের অর্থনীতির হাল এমনিতেই খারাপ, তার উপরে রেটিং কমলে তা পাকিস্তানের অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।