জোরে গাড়ি চালিয়ে আমিও দিয়েছি ফাইন, মোটর আইনের প্রশংসায় বললেন পরিবহণ মন্ত্রী গডকড়ি

কাউকে ছাড়া হচ্ছে না। জোরে গাড়ি চালানোয় তাঁকে অবধি জরিমানা দিতে হয়েছে, নতুন মোটর আইনের স্বচ্ছতার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে মন্তব্য কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গডকড়ির।
১ লা সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে সংশোধিত মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট। ট্রাফিক আইন কড়াকড়ি হওয়ার পর কোথাও বেআইনি গাড়ি চালিয়ে ১৫ হাজারের স্কুটারের জন্য ২৩ হাজার টাকার জরিমানা দিতে হয়েছে। আবার কোথাও ট্রাফিক আইন ভাঙায় লরি চালককে ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। দ্বিতীয় মোদী সরকারের ১০০ দিনের শাসনে এই মোটর আইন সংশোধনকে অন্যতম কৃতিত্ব বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। জানালেন, নতুন আইনের কোপে পড়তে হয়েছে খোদ পরিবহণমন্ত্রীকেই। সোমবার নীতিন গডকরি বলেন, মুম্বইয়ের বান্দ্রা-ওরলি রাস্তায় জোরে গাড়ি চালানোর দায়ে তাঁকেও মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। তাঁর দাবি, মোদী সরকারের সংশোধিত মোটর আইনে মোটা অঙ্কের জরিমানার ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অপরাধ প্রবণতা ও দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমবে এবং দুর্নীতিও রোধ হবে। তাই দ্বিতীয় মোদী সরকারের ১০০ দিনের শাসনে বড় সিদ্ধান্তের মধ্যে সংশোধিত মোটর ভেহিকেল অ্যাক্টকে রেখেছেন নীতিন গডকড়ি।
এছাড়া জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত, জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে পৃথক করা, তিন তালাক বিল পাশকে দ্বিতীয় মোদী সরকারের ১০০ দিনের শাসনে অন্যতম সেরা কীর্তি হিসাবে উল্লেখ করেছেন গডকড়ি। তাঁর দাবি, ৩৭০ ধারার জন্যই উপত্যকায় দারিদ্রের সমস্যা ছিল। পাকিস্তান ‘প্রক্সি ওয়ার’ চালাচ্ছিল এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সন্ত্রাস ছড়াতে সুবিধা হচ্ছিল। কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই উপত্যকায় উন্নয়নের কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। জম্মু-কাশ্মীরে ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা ও নালার কাজ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন নীতিন গডকড়ি।

Comments are closed.