ভিন্ন পেশার ‘চারমূর্তির’ সোনা জয়, কমনওয়েলথে লন বলে ইতিহাস গড়ল ভারত

লন বলে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারত। কমনওয়েলথ গেমসে সোনা পেয়েছে ভারত। আর এর পেছনে আছেন ৪ ভারতীয় নারী। এদের মধ্যে একজন পুলিশ কনস্টেবল, অপরজন পিটি শিক্ষক, আরেকজন বন দফতরের অফিসার আর আরেকজন জেলার ক্রীড়া অফিসার। মঙ্গলবার বার্মিংহামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭-১০ ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। লাভলী চৌবে, পিঙ্কি, রূপা রানী তিরকি এবং নয়নমনি সাইকিয়া ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন লন বলে।

লন বল কীভাবে খেলা হয়, তা অনেক ভারতীয় জানেন না। খুব বেশি প্রচলন নেই এই খেলার। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করার পর লক্ষ লক্ষ ভারতীয় লন বলস খেলার নিয়ম জেনেছেন৷ কিন্তু এই লন বলেই কমনওয়েলথ গেমসে সোনা আসবে ভারতের ঝুলিতে, সেই নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল। আর এদিনই জানা যায় এই বিভাগেই সোনা এনে দিল ৪ নারী। তাঁদের মধ্যে ৩ জন, রূপা রানী, লাভলি ও নয়নমনি গোল্ড কোস্ট ২০১৮ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন। এই চার জনেই ছোট থেকে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে বড় হয়েছেন।

বছর ৪২ এর লাভলী চৌবে রাঁচির এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা কোল ইন্ডিয়ায় কর্মরত ছিলেন। মা সাধারণ গৃহিণী। ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকারের পুলিশে কাজ করেন তিনি। ২০০৮ সালে ন্যাশনাল লন বলে অংশ নিয়েছিলেন তিনি এবং সোনা পেয়েছিলেন।

রূপা রানী তিরকির জন্ম ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে। ২০২০ সাল থেকে ঝাড়খণ্ডের জেলা ক্রীড়া আধিকারিক হিসেবে কাজ করছেন। ২০১০ সাল থেকে কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিচ্ছেন।

পিঙ্কির জন্ম দিল্লির এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। আরকে পুরম দিল্লি পাবলিক স্কুল শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত তিনি। ২০০৭ সালে ন্যাশনালে তিনি প্রথম লন খেলেছিলেন।

অসমের গোলাঘাট জেলার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নয়নমণি সাইকিয়ার। বাবা একজন কৃষক এবং মা একজন সাধারণ গৃহবধূ। ২০০৮ সালে প্রথম লন বল খেলা শুরু করেন তিনি। ২০১১ সাল থেকে তিনি অসম বন বিভাগের সঙ্গে যুক্ত আছেন।

Comments are closed.