তুষার মেহেতাদের রসগোল্লা খেতে কলকাতায় নিমন্ত্রণ কল্যাণের, গ্রেফতার করবেন না তো! প্রশ্ন সিঙ্ঘভির

ভার্চুয়াল মাধ্যমে সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, সিদ্ধার্থ লুথরা এবং কল্যাণ ব্যানার্জিও আছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি অরিজিৎ ব্যানার্জির ভার্চুয়াল এজলাসে চলছে নারদ শুনানি। 

হাইভোল্টেজ এই শুনানিতে আগাগোড়া জটিল আইন নিয়েই আলোচনা হলেও কিছু মুহূর্ত ছিল রসিকতারও। প্রথমদিনের শুনানির মতোই শুক্রবারও বিচারপতিদের সঙ্গেই হাসি ঠাট্টায় মাতেন দুঁদে আইনজীবীরা। 

বৃহত্তর বেঞ্চে মামলা পাঠানোর সূত্রে তখন সওয়াল করছেন সিনিয়ার আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জি। তাঁকে কথা বলতে ভার্চুয়ালি বাধা দেন সলিসিটর জেনারেল। বাধা পেয়ে খেপে যান কল্যাণ। সরাসরি বলেন, সলিসিটর যখন বলছিলেন আমি একবারও বাধা দেইনি। সলিসিটর জেনারেল অফিস কি ইদানীং ওঁকে আলাদা সুবিধা দিচ্ছে? আমার সাবমিশনের অধিকার নেই? 

এই সময় আবার কথা বলতে শুরু করে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। কল্যাণ ব্যানার্জি আবার তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, শুধুমাত্র সলিসিটর জেনারেল সাবমিশনের অধিকার পেয়েছেন নাকি? 

কল্যাণ ব্যানার্জি অভিযোগ করেন, তাঁকে আগে রেজিস্ট্রি মিউট করেছিল। 

তখন সলিসিটর জেনারেল হেসে বলেন, মিউটেড বলবেন না। ইদানীং মিউটেডের অর্থ ভাইরাস সম্পর্কিত। আপনি তো আর ভাইরাস নন। হেসে ফেলেন কল্যাণ ব্যানার্জি সহ গোটা বিচার প্যানেল। 

সেই সময় অভিষেক মনু সিংহভি, সিদ্ধার্থ লুথরা এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করছেন। তা দেখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবীরা এরকম হালকা মুডে গল্প করছেন, দেখেও ভালো লাগছে। তারপর বলেন, শ্রী ব্যানার্জি মাঝে একটু উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন ওঁর ক্লায়েন্টের জন্য।   

তা শুনে সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, এটা যদি শারীরিক ভাবে কলকাতা হাই কোর্ট হতো তাহলে এখনই সবাই মিলে চা বা কফি খাওয়া যেত। সিদ্ধার্থ লুথরার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে এবার বলেন তুষার মেহেতা, শুধু চা, কফিতে হবে না। আমি তো ব্যানার্জি বাবুকে বলতাম কলকাতার ভালো কোনও রসগোল্লার দোকানে নিয়ে যেতে। 

একথা শুনেই কল্যাণ ব্যানার্জি তুষার মেহেতা, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং সিদ্ধার্থ লুথরাকে তাঁর অতিথি হিসেবে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানান। সঙ্গে সঙ্গে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলে ওঠেন, দেখবেন, সলিসিটর জেনারেলকে আবার গ্রেফতার করবেন না! সকলে হেসে ওঠেন।

Comments are closed.