চিদম্বরমের পর কি এবার কমলনাথ? এই প্রশ্ন উঠছে কারণ সম্প্রতি ৮৪ শিখ দাঙ্গার একটি মামলা ফের খোলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সাড়ে ৩ দশক পুরনো মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন মধ্য প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা সিনিয়র কংগ্রেস নেতা কমলনাথ।
অমিত শাহের মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় কংগ্রেস নেতা কমলনাথের বিরুদ্ধে ৬০১/৮৪ নম্বর কেস পুনর্তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (এসটিএফ) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির রাজৌরি গার্ডেনের অকালি বিধায়ক মনজিন্দর সিংহ সিরসার আবেদনের প্রেক্ষিতে মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফের শুরু হতে চলেছে শিখ বিরোধী দাঙ্গা মামলার তদন্ত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ সামনে আসার পরেই অকালি দলের বিধায়ক মনজিন্দর সিংহ সিরসা একটি ট্যুইট করেন। কমলনাথের উদ্দেশে ট্যুইটে তিনি লেখেন, দিন গোনা শুরু করুন, শীঘ্রই বন্ধু সজ্জন কুমারের সঙ্গে জেলা দেখা হবে আপনার।
১৯৮৪ সালের ৩১ শে অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ডের পর দিল্লির রাজনগর এলাকায় একটি পরিবারের পাঁচ জনকে খুন এবং ধর্মীয় স্থানে ভাঙচুর করার অভিযোগ ছিল প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে। গত ১৭ ই ডিসেম্বর সজ্জন কুমারকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
এদিকে কমলনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পর দিল্লির গুরুদ্বার রাকাবগঞ্জে শিখ বিরোধী আন্দোলনে হিংসায় উসকানি দিয়েছিলেন তিনি। এর আগেও শিখ বিরোধী দাঙ্গায় হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমলনাথ। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্দেশে অকালি দলের বিধায়কের বার্তা, নির্ভয়ে সাক্ষ্য দিন।
এদিকে সিট জানিয়েছে, কমলনাথের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়াও নতুন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গায় আরও ৭ টি মামলার পুনর্তদন্ত শুরু করা হচ্ছে।
১৯৮৪ সালের ৩১ শে অক্টোবর শিখ দেহরক্ষীর হাতে খুন হন ইন্দিরা গান্ধী। পরবর্তী ৩ দিন উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র তথা উত্তর ও মধ্য ভারতে মৃত্যু হয় প্রায় ৩,৩২৫ জন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের। এর মধ্যে শুধু দিল্লিতেই হত্যা করা হয় ২,৭৩৩ জন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে।