‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে মোদীর ভাবমূর্তিতে কাদা ছেঁটানোর চেষ্টা’, খোলা চিঠির পাল্টা চিঠি কঙ্গনা রানাওয়াত সহ ৬১ বিশিষ্টের

দেশের ৪৯ জন বিশিষ্ট নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তার ৭২ ঘণ্টাও কাটল না, পাল্টা চিঠি গেল সেই প্রধানমন্ত্রীরই কাছে। দ্বিতীয় চিঠিতে প্রথম খোলা চিঠির বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আক্রমণ করে বলা হয়েছে, স্রেফ রাজনৈতিক উদ্দেশেই এমন চিঠি। দ্বিতীয় খোলা চিঠিতে সই করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত, প্রসূন যোশী, মধুর ভাণ্ডারকর সহ ৬১ জন।

জমে উঠেছে পত্রযুদ্ধ। জয় শ্রীরামকে উসকানিমূলক রণ-হুঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করে ভিন্নমত কিংবা ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা করা হচ্ছে। দেশে এই সংস্কৃতির অবসানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে সম্প্রতি অপর্ণা সেন, শ্যাম বেনেগাল, আদুর গোপালকৃষ্ণণ, রামচন্দ্র গুহ, সুমিত সরকার, অনুরাগ কাশ্যপ সহ দেশের ৪৯ জন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তি একটি খোলা চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। তারপরই পত্রপ্রেরকদের উদ্দেশ্য করে শুরু হয়ে গিয়েছিল আক্রমণ। মেঘালয়ের রাজ্যপাল থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিংবা রাজ্য বিজেপি সভাপতি, একযোগে বিঁধেছিলেন বিশিষ্টদের। এবার পাল্টা একটি খোলা চিঠি দিলেন বিজেপি তথা মোদী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিনেত্রী, চিত্র পরিচালকরা।

২৩ শে জুলাই ৪৯ জন বিদ্বজ্জনের পাঠানো খোলা চিঠির তীব্র বিরোধিতা করে দ্বিতীয় চিঠিতে সরাসরি বলা হয়েছে, এই চিঠি দেখে আমরা অবাক। চিঠিতে ৪৯ জন বিদ্বজ্জনকে স্বঘোষিত অভিভাবক এবং সমাজের বিবেকের রক্ষাকর্তা বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁরা বেছে বেছে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধ করতে।

২৩ শে জুলাই ৪৯ জন বিদ্বজ্জনের পাঠানো খোলা চিঠিতে কয়েকটি হিংসার ঘটনার মিথ্যে ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরলস উদ্যোগকেই খারিজ করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দ্বিতীয় চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলা হয়েছে, অতীতে মাওবাদীরা যখন আদিবাসীদের খুন করেছে, সন্ত্রাসবাদীরা যখন কাশ্মীরে স্কুল পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে, তখন এই বিদ্বজ্জনেরা চুপ ছিলেন কেন?

চিঠিতে কঙ্গনা রানাওয়াত, প্রসুন যোশী, মধুর ভাণ্ডারকর, বিবেক অগ্নিহোত্রী, রাজ্যসভার সাংসদ তথা নৃত্যশিল্পী সোনাল মানসিংহ, পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভাট সহ সই করেছেন ৬১ জন। এই চিঠিতেই সরকারকে সমালোচনা করার জন্য ৪৯ জন বিদ্বজ্জনকে তীব্র আক্রমণের পাশাপাশি লেখা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বেই দেশবাসী সবচেয়ে ভালো আছে। যে সমাজে মুক্তকণ্ঠে সরকারের সমালোচনা করা যায়। ভিন্নমতের অধিকার মোদীর আমলেই সবচেয়ে সুরক্ষিত বলেও চিঠিতে দাবি করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াতরা।

Comments are closed.