নতুন বছরের শুরুতেই, গত ২ রা জানুয়ারি পুলিশি সহায়তায় কেরলের সাবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন বিন্দু এবং কনকদুর্গা নামের দুই মহিলা। এরপরই জনৈক জি বি দিনাচন্দ্রন নামে এক ব্যক্তি কেরল হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করে জানতে চেয়েছিলেন, এর পেছনে কেরল সরকারের কোনও গোপন অ্যাজেন্ডা আছে কিনা, এবং ওই দুই মহিলা সত্যিই ধর্মাচরণে ব্রতী কিনা। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে কেরল হাইকোর্ট পিনারাই বিজয়ন সরকারের জবাব তলব করেছিল। তারই উত্তরে কেরলের পিনারই বিজয়ন সরকারের তরফে মঙ্গলবার কোর্টে এফিডেভিট করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে।
জানা গেছে, কোর্টকে কেরল সরকার জানিয়েছে, বিন্দু ও কনকদুর্গার সাবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সাহায্য করার পিছনে কোনও গোপন উদ্দেশ্য ছিল না, সরকার যা করেছে, তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতেই করেছে। যে নির্দেশে শীর্ষ কোর্ট রায় দিয়েছিল সকল বয়সের মহিলারাই প্রবেশ করতে পারবে সাবরীমালা মন্দিরে। কোর্টে সরকার এও জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কোনও গোয়েন্দা রিপোর্ট ছাড়া অকারণে ওই দুই মহিলার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ করারও কোনও কারণ নেই।
কোর্টে কেরল সরকার আরও জানিয়েছে, ২ জানুয়ারি বিন্দু ও কনকদুর্গার মন্দিরে প্রবেশের পিছনে সরকার ও তার পুলিশ প্রশাসনের কোনও গোপন অ্যাজেন্ডা তো ছিলই না, বরং কোর্টে নিজেদের জবাবে সরকারের দাবি, গোপন উদ্দেশ্যের যে কথা ডানপন্থীদের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তা তাদের রাজনৈতিক পরাজয়কেই চিরস্থায়ী করবে। সরকারের দাবি, এই অভিযোগের পিছনে কোনও অকাট্য যুক্তি নেই।
Related Posts
Comments