নজিরবিহীন জঙ্গি হামলায় কাশ্মীরে মৃত্যু বেড়ে ৪৪, ফের কি সার্জিকাল স্ট্রাইক?

তীব্র বরফপাতের জন্য তিন দিন বন্ধ ছিল জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে। তা খুলতেই একসঙ্গে আড়াই হাজার জওয়ানকে নিয়ে জম্মু থেকে বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সিআরপিএফ কনভয়। তাতেই ৩৫০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বোঝাই স্করপিও গাড়ি চালিয়ে এসে সিআরপএফ কনভয়ে ধাক্কা মারল জইশ জঙ্গি। সাম্প্রতিক অতীতে দেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল কাশ্মীরে। নিহত অন্তত ৪৪ জওয়ান। ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। অভিযোগের আঙুল তুলেছে পাকিস্তানের দিকে। অভিযোগ অস্বীকার করে পাক সরকার জানিয়েছে, বিষয়টি গভীর চিন্তার।
বুধবারই শেষ হয়েছে লোকসভা। তারপর দিনই এই ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার ঘটনায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। কাশ্মীরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি। হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ ই মহম্মদ। জইশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলা চালিয়েছে আদিল আহমেদ ওরফে ওয়াকাস নামে এক ফিঁদায়ে। হামলার আগে তোলা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে ওয়াকাস জানিয়েছে, ভিডিওটি যখন সবাই দেখবেন তখন সে বেহশতে।
এই হামলার পর বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই সুর চড়িয়েছে ভারত। উরি সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হানার পর সার্জিকাল স্ট্রাইক করা হয়েছিল। যা নিয়ে তারপর তীব্র রাজনৈতিক তরজা চলে। এবারও কি লোকসভার আগে সেই পথেই হাঁটবে মোদী সরকার, সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।

Comments are closed.