সিএএ-কে ‘অসাংবিধানিক’ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল কেরলের বাম সরকার

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল কেরল সরকার। বিতর্কিত নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলনের মধ্যে কেরল সরকারই প্রথম যারা এই আইনের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করল। শুধু তাই নয়, এই সরকারই প্রথম নয়া নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়েছে। বামেদের চিরকালের প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসও সেই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা ও সমর্থনে ইতিমধ্যেই একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। পিনারাই বিজয়ন সরকারের তরফে দায়ের করা এই মামলায় নয়া নাগরিকত্ব আইনকে অসাংবিধানিক বলার পাশাপাশি, ভারতে প্রবেশ সংক্রান্ত পাসপোর্ট বৈধতা সংশোধনী আইন ২০১৫ এবং বিদেশি (সংশোধনী) নির্দেশ ২০১৫- কে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। যে আইনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের আগে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা পাকিস্তান,বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ছয় অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
কেরল সরকারের এই মামলায় বিবাদী পক্ষ হিসেবে উপস্থিত থাকবে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রকের সচিব প্রতিনিধিত্ব করবেন সংশ্লিষ্ট মামলায়।
সংসদে এই আইন পাশ হওয়ার পরেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, এই আইন অসাংবিধানিক। তাঁর অভিযোগ, আরএসএস-এর নীতি মেনে এই আইন পাশ করিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা করছে বিজেপি। কোনওভাবেই কেরলে এই আইন প্রয়োগ হতে দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন পিনারাই বিজয়ন। এরপরই বিধানসভায় সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাশ করিয়ে নেন তাঁরা। যদিও কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের কোনও আইনি বৈধতা নেই। নাগরিকত্ব ইস্যু সম্পূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়।

Comments are closed.