কেরলে বন্যার জন্য আরব আমিরশাহির ৭০০ কোটি টাকা সাহায্যের প্রস্তাব নাকচ করতে পারে কেন্দ্র

মঙ্গলবারই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সাম্প্রতিক বিধ্বংসী বন্যায় ৭০০ কোটি টাকা সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই)। বিষয়টা জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন, এই বন্যা পরিস্থিতিতে কেরলের তরফে ২০০০ কোটি টাকা সাহায্য চাওয়া হলেও কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত ৬০০ কোটি টাকার সাহায্য ঘোষণা করেছে। অথচ বিদেশি রাষ্ট্র হয়েও ইউএই কেন্দ্রের থেকে বেশি সাহায্যের প্রস্তাব দিল কেরলকে! অনেকে এই নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের মুণ্ডপাত করতেও শুরু করেছিলেন।
কিন্তু জানা যাচ্ছে, ইউএই’এর দেওয়া এই আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব সম্ভবত নাকচ করতে চলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই বিপর্যয় মোকাবিলায় কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের সাহায্যই নেওয়া হচ্ছে না। তাই ইউএই’র ক্ষেত্রেও এই একই নীতি প্রযোজ্য হবে। তবে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এধরনের কোনও প্রস্তাবের কথা ইউএই এর তরফে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রকে জানানো হয়নি। প্রস্তাব এলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিদেশে যে ভারতীয়রা থাকেন, তাঁরা ইচ্ছে করলেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য পাঠাতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী সেগুলি করমুক্ত হবে। পাশাপাশি সরকারের আর একজন শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের আওতায় নথিভুক্ত কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে যদি বিদেশ থেকে আর্থিক সাহায্য পাঠানো হয় তবে তা গ্রহণ করা যাবে এবং তাতে কর লাগবে না। কিন্তু নথিভুক্ত নেই এমন এনজিও’র ক্ষেত্রে বিষয়টিকে ‘আয়’ হিসেবেই দেখা হবে। সেক্ষেত্রে নিয়ম মতো করও প্রযোজ্য হবে। তবে সরাসরি বিদেশি রাষ্ট্রের আর্থিক সাহায্য সম্ভবত গ্রহণ করা হবে না। কেন্দ্রের তরফে এও বলা হচ্ছে, ৬০০ কোটি টাকা টাকা প্রাথমিক সাহায্য হিসেবে কেরলকে দেওয়া হচ্ছে, যা পরে বিস্তারিত রিপোর্ট এলে বাড়তেও পারে। এর পাশাপাশি একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমেও বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Comments are closed.