কলকাতা লিগ কার? ফয়সালা বিকালে

শেষ কবে কলকাতা লিগের শেষ অবধি এতটা উত্তেজনা ছিল, মনে করা যাচ্ছে না। বিশেষত লিগের লড়াইয়ে তিন-তিনটি দল।

চ্যাম্পিয়নশিপের সবথেকে এগিয়ে থাকা দল, কৌলিন্যে তিন প্রধানের ধারেকাছে নেই। পিয়ারলেস ময়দানের ছোট দল হিসেবেই পরিচিত। তাদেরই কলকাতা লিগের খেতাব ঘরে তোলার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। তাই যদি হয় তবে, ১৯৫৮ সালের পর লিগ জিতবে তিন বড় ক্লাবের বাইরের কোন দল। পিয়ারলেস পারবে কি ইতিহাস গড়তে?

উত্তেজনায় সর্মথকরা। লাল হলুদ সর্মথকরা তাকিয়ে জর্জ টেলিগ্রাফের দিকে। কারণ চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে শুধু নিজেদের ম্যাচে কাস্টমসকে হারালেই হবে না। পিয়ারলেসকে পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে জর্জ টেলিগ্রাফ এর কাছে। তাই ছুটির দিন ইস্টবেঙ্গল মাঠে দলে দলে সমর্থক ভিড় করলেও, তাদের মন পড়ে থাকবে বারাসাত স্টেডিয়ামে পিয়ারলেস ম্যাচে। আর পিয়ারলেস ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে কোন ভুল করতে চাইছে না। গতবছর চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে থেকেও রানার্স হতে হয়েছিল। এবার আর সেই আক্ষেপ করতে রাজি নন পিয়ারলেস কোচ, ফুটবলাররা। দলের সবচেয়ে বড় ভরসা কলকাতা লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা বিদেশী স্ট্রাইকার ক্রোমা। দুরন্ত ফর্মে আছেন তিনি। প্রায় একার কাঁধেই চ্যাম্পিয়নশিপের দিকে নিয়ে এসেছেন পিয়ারলেসকে। কিন্তু মাত্র একদিনের ব্যবধানে খেলতে হচ্ছে কলকাতা লিগ নির্ধারক ম্যাচ। ক্ষোভে ফুটছে পিয়ারলেস। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে নারাজ জহর দাসের ছেলেরা। একটাই লক্ষ্য জর্জ টেলিগ্রাফ কে হারিয়ে ইতিহাস ছুঁয়ে দেখা।

প্রায় অসম্ভব হলেও স্বপ্ন দেখছে মোহনবাগানও। কঠিন অঙ্কে তাদেরও লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল এবং পিয়ারলেসকে হারতে হবে নিজেদের ম্যাচে। মোহনবাগান কে জিততে হবে কালিঘাট এম এস বিরুদ্ধে। কাজটা যে বেশ কঠিন তা ভালই জানেন মোহনবাগান সমর্থকরা। তবু সমর্থকের মন তো! স্বপ্ন তো দেখবেনই তারা। এখন দেখার কার হাতে ওঠে কলকাতা লিগের ট্রফি।

Comments are closed.