তরুণদের ব্রিগেড মঞ্চে বাদশা-ঐশী-দীপ্সিতা! প্রাণ ফেরালেন সেলিম, নিশানা দলবদলুদের

টানা প্রায় দু’ঘণ্টা বক্তৃতা চলার পর শেষবেলায় ব্রিগেড জমিয়ে দিলেন মহম্মদ সেলিম

রবিবারের জোটের ব্রিগেডে সূচনা হল এক নয়া দিনের। বলা যেতে পারে সূচনা হল প্রথা ভাঙার। নেতৃত্বের ক্ষমতা হস্তান্তরের সাক্ষী হল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। দীর্ঘ অতীতে যা কোনওদিন দেখা যায়নি, এমনই বহু ঘটনার সাক্ষী হল ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১।

বাম-কংগ্রেস জোটের ব্রিগেডে আব্বাস, এই ঘোষণা ছিল আগেই। এদিন দেখা গেল, মূল সভা শুরুর আগে বামেদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা সব্যসাচী চকরবর্তী এবং বাদশা মৈত্র। চমকের এখানে শুরু। আরও বড়ো চমক, শেষ বক্তা, দেবলীনা হেমব্রম।

তবে টানা প্রায় দু’ঘণ্টা বক্তৃতা চলার পর শেষবেলায় ব্রিগেড জমিয়ে দিলেন মহম্মদ সেলিম। দলত্যাগী তৃণমূল নেতাদের তীব্র আক্রমণ করে বিজেপিকে নিশানা করলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সেলিম। পাশাপাশি, জেএনইউয়ের ছাত্র নেতা ঐশী ঘোষের আক্রমণকারীদেরও নিশানা করেন তিনি। ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে সেলিম বলেন, নন্দীগ্রাম, খেজুরিতে যাঁরা আমাদের কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস করেছিল, তারাই আজ গণতন্ত্রের কথা বলছে।

রবিবার জোটের ব্রিগেড থেকে সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরী, আব্বাস সিদ্দিকীরা একযোগে বিজেপি-তৃণমূলকে আক্রমণ করলেও কার্যত শেষ বক্তা সেলিমের ভাষণে প্রাণ ফেরে সমাবেশের। সেলিম বলেন, সবে বসন্ত এসেছে। এরপর চৈত্র মাস আসবে, চৈত্রের সেলের মতো তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে যাবেন। টাকা দিয়ে তৃণমূল নেতাদের কিনে নিচ্ছে বিজেপি। বলছে এই দলবদলু নেতাদের দিয়ে বাংলায় বদল আনবে। সিপিএম নেতা সেলিমের ঘোষণা, বাংলায় বদল আসবে বামেদের হাত ধরে।

২০১৯ সালের পর এদিন ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বামেরা। জমায়েতও হয় চোখে পড়ার মতো। এদিন ব্রিগেড সমাবেশের সভাপতি ছিলেন বিমান বসু। যদিও প্রাথমিক বক্তৃতার পর সভাপতির দায়িত্ব বিমান ব্যসু কার্যত ছেড়ে দেন অভিনেতা বাদশা মৈত্রের হাতে। বক্তাদের নাম ঘোষণার দায়িত্ব নেন বাদশা। আরও চমক ছিল এদিনের ব্রিগেডে। অল্প সময়ের জন্য হলেও মঞ্চে সামান্য বলার সুযোগ পান দীপ্সিতা ধর এবং ঐশী ঘোষ। দুজনেই এবার প্রার্থী হতে চলেছেন বিধানসভা ভোটে।

Comments are closed.