অতিমারি পরবর্তী বিশ্বের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে রাষ্ট্রপুঞ্জে বামপন্থী অর্থনীতিবিদ জয়তী ঘোষ

বামপন্থী হিসেবে পরিচিত জয়তী ঘোষ এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের গুরুদায়িত্বে

করোনাকালে অর্থনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যতের হাল তুলে ধরতে এবার বিশ্বের দরবারে ভারতের অর্থনীতিবিদ জয়তী ঘোষ। করোনা উত্তর সময়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ তৈরি করেছে উপদেষ্টা বোর্ড। যেখানে ২০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন এই বামপন্থী ঘরানার অর্থনীতিবিদ। 

করোনা অতিমারিতে ধসে পড়েছে বিশ্বের অর্থনীতি। তেমনই ভারতের কিছু ধনী ব্যক্তির সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ শতাংশ বলে একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক সংস্থা। এই অবস্থায় করোনা পরবর্তী সময়ে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে জাতিপুঞ্জে যাচ্ছেন এই অর্থনীতিবিদ।

৬৫ বছরের এই অর্থনীতিবিদ বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস এমহার্স্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক। অন্যদিকে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ৩৫ বছর ধরে অর্থনীতি পড়িয়েছেন। অর্থনীতি নিয়ে বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন তিনি। সিপিএমের বাংলা মুখপত্র গণশক্তিতেও নিয়মিত কলাম লেখেন জয়তী।  

করোনা পরবর্তী সময়ে গঠিত এই উপদেষ্টা বোর্ড  তথা রাষ্ট্র সংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ (UNDESA) ঘোষণা করেছে এই ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁদের মতামত তুলে ধরবেন। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী খ্যাতিমান এই ব্যক্তিত্বরা অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয় সমূহের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের উচ্চ-স্তরের উপদেষ্টা বোর্ড (HLAB) গঠন করবেন। যা আগামী দুই বছরে বিশ্বের উন্নয়নের বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বকে দিশা দেখাবে। 

বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ (UNDESA) ইউএন সেক্রেটারি-জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেসকে কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের প্রতিক্রিয়া জানাবে। 

২০১৮ সালে তৈরি হয় ইউএন ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড স্যোসাল অ্যাফেয়ার্স  (UNDESA)। এ বছর সেই উপদেষ্টা কমিটিতেই আমন্ত্রণ পেলেন বামপন্থী হিসেবে পরিচিত অর্থনীতিবিদ জয়তী ঘোষ। 

অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাঙালির অবদান নতুন নয়। অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ ব্যানার্জির মতো নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বিশ্বের দরবারে সাড়া ফেলেছেন। আর এই করোনা অতিমারি কালে রাষ্ট্রপুঞ্জে নিজের মতামত জানাবেন জয়তী ঘোষ। 

দিল্লির জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির ছাত্রী জয়তী ঘোষ পরবর্তী সময়ে এই ইউনিভার্সিটিতেই দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন। এরপর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন।

বামপন্থী হিসেবে পরিচিত জয়তী ঘোষ এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের গুরুদায়িত্বে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অতিমারি উত্তর সময়ে রাষ্ট্র পুঞ্জের কার্যকলাপ আরও বেশি জনমুখী করে তোলার লক্ষ্যেই ন্তর্ভুক্তি।

Comments are closed.