করোনা পরিস্থিতির জেরে বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন। ভারতও সেই বৃত্তের বাইরে নয়। দীর্ঘ এই লকডাউন উঠবে কবে, এখন এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন নিয়ে মার্কিন সংস্থার রিপোর্টের জেরে বিভ্রান্তি বাড়ল।
সম্প্রতি আমেরিকান কনসালটেন্সি ফার্ম বস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ বা BCG-র নাম করে ভারতে ছড়িয়ে পড়ে একটি রিপোর্ট। তাতে দাবি করা হয়, জুনের চতুর্থ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ। ভারতে লকডাউন তোলার সময়সীমা ধরা হয়েছে এর মধ্যবর্তী সময়কে।
স্বভাবতই মার্কিন কনসালটেন্সি ফার্মের নাম করে ছড়িয়ে পড়া এই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায় সরগরম হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। বস্টন কনসালটেন্সি গ্রুপের নাম করে ছড়িয়ে পড়া ওই রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে সংবাদও প্রকাশ হয় ভারতের নামী সংবাদপত্রগুলোয়।
সাধারণ মানুষ যখন BCG-র রিপোর্টকে সত্যি ভেবে বসেছেন, ঠিক তখনই রিপোর্টকে ভিত্তিহীন এবং ভিন্ন প্রসঙ্গের বলে দাবি করে বিবৃতি দেয় BCG।
শুক্রবার তারা জানায়, BCG-র নাম করে ভারতে লকডাউন সম্পর্কিত যে রিপোর্ট ছড়িয়ে পড়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই।
মার্কিন কনসালটেন্সি ফার্ম আরও জানায়, গ্রাহকদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটি ধারণা দিতে বিভিন্ন সম্ভাব্য পরিস্থিতি ধরে নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে তারা। বিশেষ উদ্দেশে তৈরি ওই রিপোর্ট সামগ্রিক কোনও পর্যালোচনা রিপোর্ট নয়।
BCG-র নামে ছড়িয়ে পড়া এই রিপোর্টিতে বলা হয়, করোনা নিয়ে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় যে তথ্যপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, তারাও এই তথ্যের উপর নির্ভর করে এই রিপোর্ট পেশ করছে।
বিভিন্ন দেশে লকডাউনের স্টেটাস, কবে থেকে শুরু হয়েছে, কবে শেষ হতে পারে, মাঝখানে কবে লকডাউন তোলা হতে পারে এসবই জানানো হয় BCG-র নামে ছড়িয়ে পড়া ওই রিপোর্টে। যা নিয়ে চরম বিভ্রান্তি ছড়ায় বিশ্বব্যাপী।
প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ থেকে দেশে ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই লকডাউনের দিন আরও বাড়বে কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা তুঙ্গে। এর মধ্যে আমেরিকার বিখ্যাত কনসালটেন্সি ফার্মের নামে ছড়ানো রিপোর্টে বিভ্রান্ত হয় সাধারণ মানুষ। যদিও এই সংক্রান্ত গুজবের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, নির্ধারিত সময় লকডাউন তোলা হবে না, এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।