রবিবার নদিয়ার গয়েশপুরে তৃণমূলের কর্মিসভায় কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর ২ পয়সার সাংবাদিক মন্তব্য নিয়ে চলছে সমালোচনা ও বিতর্কের ঝড়। সাংবাদিকদের পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রর সমালোচনায় সরব রাজনৈতিক মহল। দলের থেকে মহুয়ার মন্তব্যের দূরত্ব স্পষ্ট করেছেন বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখার্জি। এই প্রেক্ষিতে TheBengalStory কথা বলল নদিয়া জেলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে। কী ভাবছেন তিনি? কেন বললেন ওই কথা?
প্রশ্ন: রবিবার আপনার করা মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক হচ্ছে। কেন বললেন একথা?
মহুয়া মৈত্র: সেদিন আমার একাধিক দলীয় কর্মসূচি ছিল। রবিবার গয়েশপুরে প্রোগ্রাম শুরুর সময়ে আমাদের দলের ২ স্থানীয় নেতার গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালের পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয় নেতা বাপি চ্যাটার্জি ও মিন্টুর মধ্যে অনেকদিন ধরেই গোলমাল। সেদিন আমি গিয়ে দেখি, দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওই গোলমালের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে দিয়ে দলকে হেয় করতে একটি গোষ্ঠী কিছু ছেলেকে এনে মোবাইলে ছবি তোলাচ্ছিল। সেখানে কোনও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ছিলেন না। মিন্টুর লোকজন আমাকে বলে, বহিরাগতরা না বেরোলে হলের ভেতরে তাঁরা ঢুকবেন না। কে বহিরাগত তাই নিয়ে দু’পক্ষের গোলমালের ছবি তুলে দলকে হেয় করতে এই ব্যবস্থা করেছিল একটি গোষ্ঠী। আমি তখন তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি, এই ২ পয়সার প্রেসকে কে এনেছে? আমি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের একথা বলিনি।
প্রশ্ন: আপনি যা বলেছেন তা নিয়ে প্রবল বিতর্ক চলছে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও কি আপনি অবস্থানে অনড়?
মহুয়া মৈত্র: যা বলেছি একেবারে ঠিক বলেছি। অবস্থান থেকে পিছু হঠার প্রশ্ন উঠছে কেন! আমি ১০০ শতাংশ নিজের অবস্থানে অনড়। দলকে হেয় করতে ছবি তুলে প্রচার করবে, তা আমি কখনওই বরদাস্ত করব না। শুধু দুঃখ লাগছে এটা ভেবে যে, সংবাদমাধ্যম সত্যতা যাচাই না করে বিজেপি আইটি সেলের দেখানো পথে চলছে!
প্রশ্ন: আপনাকে বয়কট করা হয়েছে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যম বলছে। কী বলবেন?
মহুয়া মৈত্র: ভগবান জানে এই বয়কটের মানে কী। সারাদিন ধরে আমার ছবি দেখাচ্ছে আবার বয়কটও! জি মিডিয়ার মালিক বিজেপির সাংসদ। ওদের এডিটর ইন চিফ সুধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। সেটা এখনও চলছে। তাই ওরা আমাকে বয়কট করলে খুশিই হব।
Comments are closed.