ভিড়ে ঠাসা ইন্ডোরের সভায় মমতা বলেন, বিজেপির কিছু নেতা-মন্ত্রীর উস্কানিমূলক কথাবার্তার জন্যই এত বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কেন তাঁরা বললেন, গোলি মারো শালোকো? কেন ওই নেতা-মন্ত্রীদের আজ পর্যন্ত দিল্লির পুলিশ গ্রেফতার করেনি? বলা হচ্ছে, দেশের মানুষ গদ্দার। কে গদ্দার, তুমি ঠিক করে দেবে? কত বড় সাহস? গতকাল কলকাতাতেও বিজেপির সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় কয়েকজন সেই ‘গোলি মারা’র স্লোগান দিয়েছে। কে কাকে ‘গোলি’ মারবে? এই সব প্ররোচনামূলক, বেআইনি ভাষায় যারা কথা বলবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবই। রাতেই কলকাতা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। কাগজের ছবি দেখে, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে অন্যদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। কাউকে ছাড়া হবে না। আইন আইনের পথে চলবে। কলকাতা পুলিশ তার মতো কাজ করবে। বিজেপির উদ্দেশে মমতার হুঁশিয়ারি, মনে রাখবেন। এটা দিল্লি নয়, এটা কলকাতা, এটা বাংলা। কলকাতায় ‘গোলি মারো’ বরদাস্ত করা হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি তো বুঝতেই পারছি না, দিল্লিতে কেমন করে এই ঘটনা ঘটল। দিল্লির পুলিশ তো কেন্দ্রের হাতে। পুলিশ আছে, সিআরপিএফ আছে, এসএসবি আছে, আরও অনেক ফোর্স আছে। তার পরেও গোলমাল থামানো গেল না? বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ত্রিপুরা দখল করেছে ওরা। সেখানে কী ধরনের অত্যাচার চলছে, ভাবা যায় না। উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার হয়। তারা ডায়েরি করতে পারে না। তাদের পুড়িয়ে মারা হয়। যোগীজি, এর নাম প্রশাসন?
এদিন মমতা ফের সিএএ-র প্রসঙ্গ তুলে বলেন, কী দরকার ছিল এসব করার? যাঁদের ভোটে আপনারা ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরা দেশের নাগরিক নন? আবার তাঁদের নতুন করে নাগরিকত্ব দেবেন? এই সিএএ-র জন্যই তো কত মানুষ মারা গেল। অসম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি ধরে অন্তত তিন-চারশো মানুষ এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছে। দিল্লিতে এখনও মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে। এখনও কত লোকের খোঁজ নেই। আরও কত দেহ পাওয়া যাবে, কে জানে।