মমতা: আমপানের খবর করতে জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে বারণ করেছিল দিল্লি, বাংলাকে বদনাম করাই উদ্দেশ্য

আমপান বিপর্যয় নিয়ে জাতীয় সংবাদমাধ্যম চুপ কেন? এই প্রশ্নে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা সরব হয়েছিলেন আগেই। এবার একই অভিযোগে সুর চড়ালেন মমতা ব্যানার্জিও। অভিযোগ করলেন, দিল্লির সরকারের নির্দেশেই আমপান ঘূর্ণিঝড়ের সংবাদ পরিবেশন করেনি জাতীয় সংবাদমাধ্যম।

হরিশ পার্কে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে মুম্বইয়ে একটি ঝড় এসেছিল। শুনেছি ৬১ থেকে ৬৫ কিলোমিটার ছিল তার গতিবেগ। বাংলা মহারাষ্ট্রের পাশে আছে। তারপর এই প্রসঙ্গ ধরেই জাতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশের উদ্দেশে তোপ দাগেন তিনি। মমতা বলেন, বাংলায় ১৬০-১৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বৃষ্টি হল, কিন্তু কেউ এক লাইন খবর করল না। এরপরই কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কারণ সংবাদমাধ্যমগুলোকে দিল্লির সরকার শিখিয়ে দিয়েছিল। মমতার কথায়, বাংলাকে চিরদিন এভাবেই বদনাম এবং বঞ্চনা করা হয়েছে। বাংলা কোনওদিন ওঁদের কাছে প্রাপ্য সম্মান পায়নি।

বিজেপির দিকেও এদিন তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, একদিকে আমরা যখন লড়াই করছি কী করে করোনা ও আমপানের জোড়া দুর্যোগ থেকে বেরিয়ে আসা যাবে, তখন একটা রাজনৈতিক দল বলে যাচ্ছে, বাংলায় এদের তাড়াও, বাংলা আমাদের ভোট ব্যাঙ্ক। মমতার প্রশ্ন, এটা কি রাজনীতি করার সময়? তারপরই মমতা বলেন, আমি তো বলছি না মোদীকে দিল্লি থেকে তাড়িয়ে দাও। কারণ আমি মনে করি এটা এই রাজনীতির সময় নয়। রাজনীতির সময় রাজনীতি করা যাবে। এখন মানুষের সেবা করার সময়, নোংরা রাজনীতি করার সময় এটা নয়। তাঁর প্রশ্ন, ৩ মাস কোথায় ছিলেন? কাউকে তো দেখা যায়নি রাস্তায়? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরাই একমাত্র মানুষের পাশেই ছিলাম, তা সবাই দেখেছে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবহণ নিয়েও এদিন কেন্দ্রের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা আসছেন বলে চিৎকার করছেন কিন্তু তাঁদের হাতে এক টাকাও দেননি। খাবারের অভাবে, চিকিৎসার অভাবে সামগ্রিক অব্যবস্থায় অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। মমতা ব্যানার্জি বলেন, ট্রেন-বাসের ভাড়া মিটিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ মানুষ বাংলায় ফিরে এসেছেন। আরও কয়েক লক্ষ মানুষ ফিরবেন।

Comments are closed.