Mamata: তুই আমার পা জখম করেছিস, চেপে গেছি ভদ্রতা করে…

একুশের ভোটের সমস্ত আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকা নন্দীগ্রামের হাই ভোল্টেজ প্রার্থী মমতা ব্যানার্জি সম্ভবত সবচেয়ে বড় বোমাটি ফেললেন প্রচারের শেষ দফায়। সরাসরি শুভেন্দুকে নিশানা করে বললেন, ভোটের সময় তুই আমার পা জখম করেছিস। তারপরই মমতার সংযোজন, আমি চেপে গেছি ভদ্রতা করে। আজও আমায় ভাঙ্গা পায়ে হুইল চেয়ারে মিটিং করতে হচ্ছে। তোমার নির্দেশ ছাড়া এসব হতে পারে না। 

হোলিতে সকাল থেকেই মমতা ছিলেন নন্দীগ্রামের পথে পথে। কখনও অসমান রাস্তায় গড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হুইল চেয়ার আবার কখনও মঞ্চে ঠেলে তুলতে হয়েছে তাঁকে। দিন কেটে রাত, মমতা ব্যস্ত প্রচারে ফিনিশিং টাচ দিতে। হাতে আর মাত্র ২ দিন। 

মনোনয়ন জমা করে বিরুলিয়া বাজারে প্রচারে আহত হন মমতা ব্যানার্জি। গ্রিন চ্যানেল করে তাঁকে এসএসকেএমে আনা হয়। তারপর ফের নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী। 

সোমবার সকালে বিরুলিয়া কাণ্ডে নাম না করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ভোটের সময় তুই আমার পা জখম করেছিস। আমি চেপে গেছি ভদ্রতা করে। আজও আমায় হুইল চেয়ারে বসে মিটিং করতে হচ্ছে। তোমার অর্ডার ছাড়া এসব হতে পারে না। 

কাঁথির সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মমতাকে আক্রমণ করে পায়ে আঘাতের প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করেছিলেন। এদিন সেই কটাক্ষেরও জবাব দেন। বলেন, কোনও নন্দীগ্রামের লোক এরকম করতে পারে না। বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে তুমি এই সব করিয়েছ।

এরপর আবার মমতা নিশানা করেন শান্তিকুঞ্জের বিজেপি নেতাকে। শুভেন্দুর ভূমিপুত্র স্লোগানকে পাল্টা বিঁধে মমতা বলেন, আমি বাইরের মেয়ে? তুই বেটা কোন হরিদাস কাঁথির ছেলে, কী করে বেড়াস? তুই কবে নন্দীগ্রামের ছেলে হলি? তুই কী করে ভূমিপুত্র? তোর তো এখানে ভূমি নেই জমিও নেই। তুই শুরুতে সিপিএমের দালালি করেছিস এখন বিজেপির। তারপরই নির্দিষ্ট কথোপকথনের ভঙ্গিতে চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, কী দিইনি তোকে? মমতা বলে চলেন, তোকে পরিবহণ মন্ত্রী করেছি। পরিবেশ দফতর, সেচের মন্ত্রী করেছি। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করেছি। তোর বাবাকে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করেছি। তোর ভাইকে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান করেছি। 

অধিকারী পরিবারের সম্পত্তির কথা বলতে গিয়ে মমতা ফের বলেন লঞ্চ, পেট্রোল পাম্পের কথা। সবশেষে মমতার প্রশ্ন, কি খেলা হবে তো? জবাব দেয় নন্দীগ্রাম। উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের দেখে তো মনে হচ্ছে লড়াইয়ে জিত অবশ্যম্ভাবী। মমতার কথায়, লড়ব এখানে, দাঁড়াব এখানে, জিতব এখানে। সব মিলিয়ে মহা ভোটের ২ দিন আগে ফুঁটছে নন্দীগ্রামের।

Comments are closed.