১ জুলাই থেকে মেট্রো চালাতে চায় রাজ্য, বিমান-ট্রেনের জন্য ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, ২১ জুলাই সমাবেশ না করার ইঙ্গিত মমতার
লকডাউনের এই পর্বে খুলে গিয়েছে দোকানপাট, অফিস কাছারি। অভিযোগ, রাস্তায় বেরিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বন্ধ ট্রেন, মেট্রো। এই পরিস্থিতিতে মানুষের সমস্যা কমাতে দ্বিমুখী পদক্ষেপ নিল নবান্ন।
১ জুলাই থেকে যাতে সমস্ত সুরক্ষাবিধি মেনে মেট্রো চলাচল শুরু করা যায়, সেজন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছে রাজ্য প্রশাসন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্ত সুরক্ষাবিধি মেনে, যত আসন ততো যাত্রী নিয়ে মেট্রো চালানো যায় কিনা তা নিয়ে কথা হচ্ছে। সমস্ত শর্ত মানলে ১ জুলাই থেকে মেট্রো চলুক, চান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবি এদিনও পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছেন মমতা। তার বদলে রাজ্যের ৬ হাজার প্রাইভেট ও মিনিবাসকে ৩ মাসের জন্য ১৫ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে আক্রমণ করেন কেন্দ্রকে। বলেন, কারও অবিবেচনাপ্রসূত কাজের জন্য দেশ গোষ্ঠী সংক্রমণের দোড়গোড়া দাঁড়িয়ে আছে। বিদেশ থেকে বিমান নিয়েও নিজের অসন্তোষ গোপন করেননি মমতা। তাঁর কথায়, বিদেশ থেকে আসা প্লেনে কোথাও কোনও নিয়ম নীতি মানার বালাই নেই। পরীক্ষা না করেই প্রত্যেকে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। এর মধ্যে কেউ সংক্রমিত হলে কী করব? বিদেশ থেকে আসা প্লেন নিয়ে সমস্যার কথা জানিয়ে মুখ্যসচিব কেন্দ্রকে চিঠি দেবেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে মাসে একবার বিমান নামলে, রাজ্যের পক্ষে তা সামলানো সম্ভব। ঘরোয়া বিমান পরিবহণ এবং ট্রেন চলাচল নিয়েও কেন্দ্রকে বিঁধেছেন মমতা ব্যানার্জি।
তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস ২১ জুলাই অন্যান্যবারের মতো বিরাট জমায়েতের মধ্যে দিয়ে হবে না এমনই ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে মমতা ব্যানার্জির প্রশ্ন, আমরা যদি ২১ জুলাই স্যাক্রিফাইস করতে পারি, আপনারা কেন মিটিং মিছিল করবেন? পাশাপাশি নাম না করে বিজেপিকে তাঁর কটাক্ষ, লকডাউনের কারণে বিয়েবাড়ি কিংবা রথযাত্রা বাতিল হলে, আপনারা ছাড় পাবেন কোন যুক্তিতে? তারপর লকডাউন আইন ভাঙার জন্য পুলিশ ব্যবস্থা নিলে আবার প্রশ্ন করবেন কেন এফআইআর! মমতা বলেন আইন নিজ পথেই চলবে। রাজনীতি করার সময় অনেক পাবেন, মিটিং-মিছিলও করতে পারবেন কিন্তু আইন ভেঙে তা করতে যাবেন না। এদিন বিরোধীরা ভাষা সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, মানুষ এটা ভালোভাবে নিচ্ছে না।