কৌশিক বসু: আগামী ১২ দিনে রাশিয়াকে ছাড়িয়ে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যায় বিশ্বে তিন নম্বরে যাবে ভারত, প্রয়োজন পেশাদারি পরিকল্পনা

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ১৭ হাজার ২৯৬ জন নতুন করে কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন। যা একদিনে সংক্রমণের নিরিখে সর্বাধিক। এই পরিস্থিতিতে বাঙালি অর্থনীতিবিদ তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা কৌশিক বসুর মত, ভারতে করোনার বিস্তার যতটা হওয়ার কথা তার চেয়ে অনেক দ্রুত হচ্ছে। এই সংক্রমণ রোধে আশু প্রয়োজন পেশাদারি নীতির। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর কথায়, ভারতে সেই দক্ষতা আছে। দরকার শুধু তা কাজে লাগানোর।

বিশ্বের ২১৩ টি দেশ ও অঞ্চলে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৯৮ লক্ষে পৌঁছেছে। এখন আমেরিকা, ব্রাজিল, রাশিয়ার পরেই সংক্রমিতের সংখ্যায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। শুক্রবার অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু তাঁর নিজস্ব ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখেন, আমার অনুমান, আগামী ১২ দিনের মধ্যে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে, বিশ্বে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে যাবে ভারত। কিন্তু এ দেশে তুলনামূলকভাবে সংক্রমণ মাত্রা বেশি বলেই মত বিখ্যাত অর্থনীতিবিদের। তাঁর মতে, রাশিয়াকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আগে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজন পেশাদারি নীতি ও নকশার। ভারতের সেই দক্ষতা রয়েছে। এবার তাকে কাজে লাগানোর প্রয়োজন, ট্যুইটারে লেখেন কৌশিক বসু।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে রাশিয়ায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ লক্ষ১৩ হাজার ৯৯৪ এবং ভারত পৌঁছেছে ৪ লক্ষ ৯১ হাজার ১৭০ এ।
গত সপ্তাহে ১৫ হাজার, গত দু’তিন দিনে ১৬ হাজার, শুক্রবার ১৭ হাজার। এ ভাবেই ভারতে প্রতিদিন বাড়ছে নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা। এই সংক্রমণ বৃদ্ধি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞদের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ২৯৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন কোভিডে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু, দেশের মোট করোনা কেসের প্রায় ৬০ শতাংশই রয়েছে এই তিনটি রাজ্যে। পাশাপাশি করোনায় মৃত্যুও বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। দেশে মৃতের সংখ্যা শুক্রবার ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাত হাজার মৃত্যু হয়েছে শুধু মহারাষ্ট্রেই। রাজধানী দিল্লিতেও সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪২৯ এ। তৃতীয় স্থানে থাকা গুজরাতে মারা গিয়েছেন এক হাজার ৭৫৩ জন। বিগত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে বৃদ্ধি peye তামিলনাড়ুর মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬৬ তে। এর পরই তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (৬১১), পশ্চিমবঙ্গ (৬০৬) ও মধ্যপ্রদেশ (৫৪২)। এ ছাড়া শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে রাজস্থান (৩৭৯), তেলঙ্গানা (২৩০), হরিয়ানা (১৯৮), কর্ণাটক (১৭০), অন্ধ্রপ্রদেশ (১৩৬) ও পঞ্জাব (১২০)।
এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে ভারতকে আরও পেশাদারি নকশা গড়ার পরামর্শ দিলেন বাঙালি অর্থনীবিদ কৌশিক বসু।

Comments are closed.