বিজেপিকে রুখতে কৌশল, শুক্রবারের কালীঘাট-বৈঠকে জনপ্রতিনিধিদের জয়ের মন্ত্র দেবেন মমতা
বৈঠক থেকে কী বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল
২৯ জানুয়ারি তৃণমূলের সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদদের বৈঠকে ডাকলেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি। শুক্রবার কালীঘাটেই বসবে বৈঠক। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের আলোচ্য বিষয় জানানো না হলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান তৃণমূল নেত্রী বিধানসভা ভোটের দিশানির্দেশ দিতে পারেন। আলোচনা হতে পারে নির্বাচনী রণকৌশল নিয়েও।
বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় দলবদলের হিড়িক পরে গিয়েছে। শুভেন্দু অধ্যায়ের পরপরই শাসক দলের বেশকিছু নেতামন্ত্রীকে বেসুরো শোনা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই হাওড়ার জেলা সভাপতি ও মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লক্ষীরতন শুক্লা। গত এক সপ্তাহের মধ্যে অপর এক মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জিও রাজভবনে গিয়ে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। বেসুরো বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। উত্তরপড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল দলের বিরুদ্ধে গিয়ে একাধিক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে শোকজ করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে ৩১ তারিখ অমিত শাহ সভা করবেন হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে। বিজেপির হাইভোল্টেজ সভাতেই তৃণমূলের চার বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন বলে জল্পনা ।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদকে নিয়ে দলনেত্রীর বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। হুগলির পুড়শুড়ার সভা থেকে মমতা ঘোষণা করেছিলেন দলবিরোধী কাজ বরদাস্ত করা হবে না। দলনেত্রীর হুঁশিয়ারির পরেই উত্তরপাড়ার বিধায়ককে শোকজ করে তৃণমূল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে ২৯ তারিখের মিটিং-এ দলের বেসুরো নেতামন্ত্রীদের ছাড়াই আসন্ন ভোট যুদ্ধের রণনীতি ঠিক করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।
মমতা ব্যানার্জি দলের অভ্যান্তরে বারবার বলেছেন কে গেল কে এল তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে মানুষের পাশে থাকতে হবে। গত দশ বছরের উন্নয়নের কাঁধে ভর করেই বিধান সভায় বাজিমাত করবে তৃণমূল, নিশ্চিত মমতা। এই প্রেক্ষিতে শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠক থেকে জনপ্রতিনিধিদের কি বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।