চিকিৎসক মা অনুপ্রেরণা, আত্মবিশ্বাসই মূলমন্ত্র, ভূবনসুন্দরী হরনাজ সান্ধু একজন প্রকৃতি প্রেমী

২১ বছরের খরা কাটিয়ে ভুবনসুন্দরী শিরোপা পেল ভারত। পঞ্জাবের হরনাজ সান্ধুর মাথায় উঠেছে ভুবরসুন্দরী (মিস ইউনিভার্স)-এর মুকুট। সুস্মিতা সেন, লারা দত্তের পর এ বার এই মুকুট উঠেছে ভারতের ২১ বছরের তরুণীর মাথায়। ৭০ তম মিস ইউনিভার্সের আসর এবার বসেছিল ইজরায়েলে। সেখানেই শেষ হাসি হাসেন হরনাজ।

২০০০ সালে চণ্ডীগড়ে জন্ম হরনাজের। ছোট থেকে চিকিৎসক মাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন হরনাজ। যিনি স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ। ছোট থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি মডেলিং টানত সান্ধুকে। প্রথমে শিভ্লিক পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা। এরপর চণ্ডীগড়েই গার্লস কলেজ থেকে স্নাতক। জনসংযোগ নিয়ে মাস্টার্স করেছেন তিনি। ১৭ বছর বয়সে প্রথম মডেলিং-এ আসা। পঞ্জাবি এই সুন্দরী স্থানীয় এবং সর্বভারতীয় স্তরের বহু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। এর আগে ‘মিস পঞ্জাব’ এবং ‘মিস ইন্ডিয়া’ এবং ‘মিস ডিভা’ খেতাব জিতেছেন। অনেকদিন ধরেই তিনি পঞ্জাবি ছবিতে কাজ করেছেন।

মডেলিংয়ের পাশাপাশি তিনি পছন্দ করেন সাঁতার কাটা, ঘোড়ায় চড়া ও নাচ। দাবা খেলাতেও পারদর্শী সে। পাশাপাশি তিনি একজন প্রকৃতি প্রেমী। মিস ইউইভার্স প্যানেলিস্টদের গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও প্রকৃতি সংরক্ষণ নিয়ে ভাষণ দিয়ে তিনি মুগ্ধ করেছিলেন।

মিস ইউনিভার্সের জন্য কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে তিনি জানান, জীবনে কোনও লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য আত্মবিশ্বাস থাকা দরকার। আমি পারি, সবসময় এই বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জীবন কোন পথে এগোবে, নিজেকেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করলে চলবে না। বিশ্বজুড়ে কী ঘটছে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

Comments are closed.