প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে সরব মমতা, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ট্রেস-টেস্ট ও ট্রিটমেন্টে জোর মোদীর
দেশের করোনা প্রভাবিত ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভার্চুয়াল বৈঠকে হাজির ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। করোনা সংক্রমণে লাগাম পরাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। সূত্রের খবর, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি বর্ণনা করে, বাংলার বকেয়া অর্থ দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
বিহার, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বাংলা, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশ। দেশের এই ১০ টি রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেই বৈঠকেই করোনা মোকাবিলার প্ল্যান খতিয়ে দেখা হয়।
বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। জানিয়েছেন, কীভাবে প্রবল অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও করোনা মোকাবিলা করে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের কাছে বকেয়া ৫৩ হাজার কোটি টাকা দিতে আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সূত্রের খবর, মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, জিএসটির প্রাপ্য টাকাও এখনও পায়নি রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলার কাজ চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার যেন রাজ্যগুলোকে দ্রুত বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেয়।
এদিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে মৃত্যুহার ১ শতাংশেরও নীচে নিয়ে আসাই এখন সবচেয়ে প্রধান কাজ। তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে অংশ নেওয়া ১০ টি রাজ্যেই রয়েছে দেশের ৮০ শতাংশ কোভিড কেস। বিহার, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, বাংলায় টেস্ট বাড়ানোর কথাও বলেছেন মোদী। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনও সংক্রমিতের সংস্পর্শে এসেছিলেন যাঁরা, তাঁদের ট্রেস, টেস্ট ও ট্রিটমেন্ট করানোর ব্যবস্থা করার উপর বিশেষভাবে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিডকে জিততে এই পথই অনুসরণ করতে হবে বলেও জানান মোদী। তিনি বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী কনটেইনমেন্ট জোন বা মাইক্রো কনটেইনমেন্ট তৈরি করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায়, এই ১০ রাজ্য সাফল্য পেলেই, জিতবে দেশ।