নাগরিকত্ব আইন: ‘দুর্ভাগ্যজনক’, দেশজুড়ে হিংসার নিন্দা করলেন মোদী, নাগরিকদের আশ্বস্ত করলেন ট্যুইটে

নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত চারদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলা বিশৃঙ্খলা নিয়ে সোমবারই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিক্রিয়া জানালেন ট্যুইটে। তাঁর মন্তব্য, যা চলছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিন্দুমাত্র প্রভাব ভারতীয় কোনও নাগরিকের উপর পড়বে না, সেই নাগরিক যে কোনও ধর্মাবলম্বী হতে পারেন। এই আইন কেবল তাঁদের জন্য, যাঁরা বছরের পর বছর বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে নির্যাতিত হচ্ছেন, যাঁদের ভারত ছাড়া কোনও আশ্রয় নেই।

নয়া আইন নিয়ে সোমবার পরপর পাঁচটি ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। অসম, ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমবঙ্গ, এমনকী দিল্লিতে প্রবল আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রথম ট্যুইটে মোদী লেখেন, এটা শান্তি, একতা ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার সময়। প্রতিটি দেশবাসীর কাছে আমার একান্ত আবেদন, কোনও গুজব ও মিথ্যার প্ররোচনায় পা দেবেন না।

দ্বিতীয় ট্যুইটে মোদী লেখেন, এই সময়ে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নতি ও গরিব এবং প্রান্তিক মানুষের ক্ষমতায়নে জোর দিতে হবে। এই সময়ে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, যে গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে আমাদের বিভাজন করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। অপর একটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী জানান, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে কোনও ধর্মের নাগরিকের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। এই আইন তাঁদের জন্য, যাঁরা বাইরে বছরের পর বছর নির্যাতিত হচ্ছেন। যাঁদের শেষ আশ্রয় ভারত।

 

এরপরের ট্যুইটে মোদী নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করেন। লেখেন, সংসদের দুই কক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদের সমর্থনে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল পাশ হয়েছে। এই বিল ভারতের সুপ্রাচীন সংস্কৃতি, একতা, একে অন্যের প্রতি সহানুভূতি ও সৌভ্রাতৃত্বের আদর্শ মেনেই তৈরি হয়েছে। এরপরেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংশ্লিষ্ট আইনের বিরোধিতায় যে আন্দোলন চলছে তার সমালোচনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মতে, বিতর্ক, আলোচনা ও ভিন্নমত গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ। কিন্তু যেভাবে আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছে, জনজীবন স্তব্ধ করে দেওয়া হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক।

Comments are closed.