কলকাতা লিগের ম্যাচ ঘিরে গণ্ডগোল মহামেডান মাঠে। সোমবার দুপুরে নিজেদের মাঠে সাদার্ন সমিতির মুখোমুখি হয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং। প্রথমার্ধের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে সাদা-কালো ব্রিগেড। সাদার্নকে এগিয়ে দেন কালু ওগবা। বিরতির সময় খেলার ফল ছিল সাদার্ন সমিতির পক্ষে ১-০।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা যতই এগোতে থাকে, ততই ধৈর্য হারাতে শুরু করেন মহামেডান সমর্থকরা। ৬০ মিনিটের পর মাঠে বোতল পড়তে শুরু করে। মিনিট তিনেক খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন রেফারি। আবার খেলা শুরু হলে সমতা ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা করেন সুব্রত ভট্টাচার্যের ফুটবলাররা। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলার ফল ছিল ১-০।
এর পরেই চতুর্থ রেফারি ১১ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন। অবাক হয়ে যায় গোটা মাঠ। আর এই অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে গোল করে মহামেডানকে সমতায় ফেরান আর্থার।
ম্যাচ শেষের পর শুরু হয় গণ্ডগোল। রেফারি দেবাশিস মাণ্ডির দিকে তেড়ে যান সাদার্ন সমিতির শ্যাম মণ্ডল। প্রথমে গালিগালাজ এবং পরে রেফারির কানের নীচে ঘুষি মারেন শ্যাম। সঙ্গে সঙ্গেই লালকার্ড দেখানো হয় শ্যামকে। মহামেডান তাঁবুতে বসেই ময়দান থানার পুলিশের কাছে এফআইআর করেন রেফারি দেবাশিস মাণ্ডি। এখন দেখার এই ঘটনার জল কতদূর গড়ায়।
সাদার্ন কোচ মেহতাব হোসেন বলেছেন, ‘১১ মিনিট সংযুক্তি সময়ের কথা আমি কোনওদিন শুনিনি। তবে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শ্যামের মাথা গরম করা একদম ঠিক হয়নি। তারপরেও বলছি, এফআইআর হলে ফুটবলারটির জীবন নষ্ট হয়ে যাবে।’
Comments