আজ ডুরান্ড ফাইনালে গোকুলাম ছাড়াও ক্লান্তি বড় চিন্তা মোহনবাগানের, নিজেদের ফেবারিট মানতে নারাজ সবুজমেরুন কোচ

মাত্র একটা ম্যাচ। আর সেই ম্যাচটা জিততে পারলেই মরসুমের প্রথম ট্রফি ঢুকবে মোহনবাগানের ঘরে। স্প্যানিশ কোচের জমানার শুরু হবে সাফল্য দিয়ে। শনিবার বিকেলে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে প্রতিপক্ষ গোকুলাম এফসি। যারা ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ফাইনাল খেলতে এসেছে।
সেমিফাইনাল ম্যাচে দু’দলকেই খেলতে হয়েছে ১২০ মিনিট। মাঝে মাত্র ৪৮ ঘন্টার বিশ্রাম। আর তারপরেই নামতে হচ্ছে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে।
মোহনবাগান এবং গোকুলাম এফসি। দু’দলের কোচই প্রতিপক্ষ নিয়ে যতটা চিন্তা করছেন, ততটাই চিন্তা করছেন নিজের দলের ফুটবলারদের ক্লান্তি নিয়ে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়া, ফাইনালে যে ফুটবলারদের খেলায় ছাপ ফেলতে পারে, সেই আশঙ্কাই করছেন দুই কোচ।
ফাইনালের আগের দিন গোকুলাম অনুশীলন করল সকালে। আর মোহনবাগান অনুশীলন করল বিকেলে। সাংবাদিক সম্মেলনে মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা বলছেন, ‘গোকুলাম দারুণ দল। সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ওরা ভালো ফুটবল খেলেছে। অবশ্যই ওদের মূল স্ট্রাইকার মার্কাসের দিকে নজর রাখতে হবে। ৯ টা গোল ইতিমধ্যেই ও করে ফেলেছে। তবে ওর সঙ্গে হেনরিও খুব ভালো ফুটবলার। ফাইনাল আমাদের জন্য খুব শক্ত ম্যাচ হতে চলেছে।’
তবে ফাইনালের নামার আগে নিজেদের ফেভারিট মানতে নারাজ মোহনবাগান কোচ। ‘আমরা কখনওই ফেবারিট নই। দুটো দলই ভালো। দুই দলেরই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা ৫০-৫০। সেমিফাইনালে জিতলেও আমাদের দলের এখনও অনেক জায়গায় উন্নতি করা প্রয়োজন। সেই চেষ্টাই আমরা করব। ক্লাবের জন্য আমাদের এই ঐতিহাসিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া দরকার।’
গোকুলাম কোচ স্যান্টিয়াগো ভালেরা বলছেন, ‘মোহনবাগান দলে সালভা, বেইতিয়ার মত ভাল ফুটবলার আছে। গোটা দলটাই ভালো ফুটবল খেলছে। সেমিফাইনালে আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে ফাইনালে উঠেছি। ফাইনালেও চেষ্টা করব নিজের সবটুকু দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য।’

Comments are closed.