তিনি একাই একশো। গোল করলেন। গোল করালেন। তিনিই বড় ম্যাচের নায়ক। আর তাঁর দুরন্ত ফর্মের উপর ভরসা করেই বড় ম্যাচে শেষ হাসি হাসল মোহনবাগান। মোহনবাগান জিতল ২-১ গোলে। গোল করলেন বেইতিয়া এবং বাবা দিওয়ায়া। ইস্টবেঙ্গলের গোলদাতা মার্কোস। এই জয়ের ফলে ৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল মোহনবাগান। অন্যদিকে, ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ক্রমেই লিগে তলিয়ে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শেষের দিকে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েও পয়েন্ট পেল না ইস্টবেঙ্গল।
এদিন বড় ম্যাচে সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। মাঠেও দেখা গেল প্রথম থেকেই দুরন্ত ফুটবল খেলছেন মোহনবাগান ফুটবলার। বিশেষ করে মোহনবাগানের হয়ে এদিন আগুন ঝরালেন জোসেবা বেইতিয়া। ১৮ মিনিটে নাওরেমের গোললাইন থেকে করা সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন বেইতিয়া। গোটা প্রথমার্ধেই দুরন্ত ফুটবল খেলে মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খেলায় ফেরার চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। তবে তাতে কিছু লাভ হয়নি। বরং ৬৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় মোহনবাগান। বেইতিয়ার কর্ণারে দুরন্ত হেডে গোল করেন বাবা। মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোলের পরেই ম্যাচের রঙ পাল্টে যায়। খেলায় ফিরে আসে ইস্টবেঙ্গল। পরিবর্ত হিসেবে নামা এডমান্ড দারুণ ফুটবল খেলছিলেন। ৭১ মিনিটে তাঁর পাস থেকেই ব্যবধান কমান মার্কোস। সমতা ফেরানোর একাধিক সুযোগ নষ্ট করে ইস্টবেঙ্গল। জুয়ান মেরার শট ক্রসবারে লেগে ফেরে। শেষ পর্যন্ত জিতেই মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান।