গত পাঁচ বছরে বাংলায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বা ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি বৃদ্ধির ফলে হ্রাস পেয়েছে নবজাতক ও শিশুমৃত্যুর হার। গত শনিবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ‘ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৫’ (NFHS-5) রিপোর্টে উঠে এল এমনই তথ্য।
NFHS-5’র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের রিপোর্ট বলছে, বাংলায় শুধু শিশুমৃত্যুর হারই কমেনি, শিশুকন্যার সংখ্যার অনুপাতেও উন্নতি হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শহরের তুলনায় গ্রামীণ বাংলায় বেশি সংখ্যক শিশুকন্যা জন্মগ্রহণ করেছে বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট।
২০১৫-১৬ সালের ‘ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৪’ (এনএফএইচএস-৪) রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল বাংলায় নবজাতকের মৃত্যুহার (NNMR) প্রতি হাজারে ছিল ২২ জন। এবার ২০১৯-২০ সালের সার্ভেতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫। গ্রাম বাংলায় নবজাতকের মৃত্যুহার লক্ষণীয়ভাবে কমেছে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট। রাজ্যের শিশুমৃত্যু (IMR) হারও গত পাঁচ বছরে প্রতি হাজারে ২৭.৫ থেকে কমে ২২-এ পৌঁছেছে। তাছাড়া অনুর্ধ্ব ৫ বছরের শিশুমৃত্যুর হারও (U5MR) এই সময়ে হাজারে ৩১.৮ থেকে কমে হয়েছে ২৫.৪।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের শহরাঞ্চলে সদ্যোজাত পুত্র ও কন্যা সন্তানের অনুপাতেও ভালো ছবি ধরা পড়েছে। শহরে প্রতি হাজার পুত্র সন্তান পিছু কন্যা সন্তান জন্মেছে ৯৯৫ জন এবং গ্রামাঞ্চলে তা ৯২১।
আর একটি বিষয় হল, বাংলায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বা হাসপাতালে প্রসবের হারের উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ২০১৫-১৬ সালের রিপোর্টে বাংলায় এই হার ছিল ৭৫.২ শতাংশ। ২০১৯-২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯১.৭ শতাংশ।
তবে এসবের মধ্যেও বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অপুষ্টি বড়ো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৬ থেকে ২৩ মাসের শিশুদের পর্যাপ্ত খাদ্য পৌঁছনোর চেষ্টা থাকলেও অপুষ্টি বড়ো ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের কাছে, বলছে রিপোর্ট।