করোনার জেরে পৌষ মেলা হচ্ছে না এবছর! এই নিয়ে তৃতীয়বার বন্ধ মেলা

করোনার কারণে এবছরের মতো বন্ধ হয়ে গেল শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কেবল পৌষ উৎসব পালিত হবে। সোমবার বিশ্বভারতীর কোর্ট কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

সোমবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সদস্যেরা একটি অনলাইন বৈঠক করেন। ৯০ জন সদস্যের মধ্যে ৭০ জন ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীন নানা বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেন কোর্ট সদস্য সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিচারপতি শখারাম সিংহ যাদব, সঞ্জয় বুধিয়া, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রমুখ। পাশাপাশি এবার পৌষ মেলা হবে কিনা তা নিয়েও আলোচনা হয়। প্রশ্ন ওঠে কোভিড পরিস্থিতিতে পৌষ মেলা কি এ বছর আদৌ সম্ভব? তাতে অধিকাংশ সদস্যই মেলা বন্ধের পক্ষেই সায় দেন বলে খবর। পরে সিদ্ধান্ত হয়, কোবিড পরিস্থিতিতে এ বছরের মতো বন্ধ থাকছে পৌষ মেলা। তবে, অল্প সংখক মানুষকে নিয়ে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্বভারতীতেই পালিত হবে পৌষ উৎসব।

গত অগাস্ট মাসে পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া ও বিক্ষোভকারীরা সেই পাঁচিল ভেঙে ফেলার প্রেক্ষিতে একাধিকবার বিশ্বভারতী কতৃর্পক্ষের তরফে বিভিন্ন বিতর্কিত বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে বিশ্বভারতী জানিয়েছিল, তারা কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত পৌষ মেলা বন্ধ করতে চায় না। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ‘খোলা মন’ এবং ‘পর্যাপ্ত অর্থসাহায্য’ দিয়ে পৌষ মেলা করার আহ্বানও জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু গত অক্টোবর মাসে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও দুই ডাক্তার-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১১ জন করোনা সংক্রমিত হন। ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এই করোনা পরিস্থিতিতেই তাই এবার পৌষ মেলা বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, পৌষ মেলার ১২৬ বছরের ইতিহাসে এর আগে মোট দুবার বন্ধ হয়েছিল মেলা। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে পৌষ মেলার আয়োজন সম্ভব হয়নি। তবে সে দু’বারও পৌষ উৎসব পালন হয়।

 

Comments are closed.