নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে কেরলে মিছিল, নরওয়ের প্রৌঢ়াকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করায় জার্মান ছাত্রের পর এবার নরওয়ের এক মহিলাকে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দিলেন ইমিগ্রেশন অফিসাররা।
গত ২৩ শে ডিসেম্বর কোচিতে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন ৭১ বছরের নরওয়ের বাসিন্দা জন-মেট জোহানসন। এরপরেই তাঁকে ইমিগ্রেশন অফিস থেকে নোটিস পাঠিয়ে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশন অফিসাররা জানিয়েছেন, জন-মেট জনসন ভিসা আইন লঙ্ঘন করেছেন। কোচির ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের (এফআরআরও) এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, বৃহস্পতিবার নরওয়েবাসী ওই মহিলাকে সমন পাঠানো হয়েছিল।
সূত্রের খবর, জন-মেট জোহানসনের এটা পঞ্চম ভারত সফর। আগামী বছরের ৩১ শে মার্চ জন-মেট জনসনের ভিসার মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু তার আগেই তাঁকে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে এফআরআরও।
গত ২৩ মার্চ নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় কোচির এক মিছিলে যোগ দেন নরওয়ের ওই প্রৌঢ়া। ফেসবুকে সেই আন্দোলনের ছবি পোস্ট করেছিলেন জনসন। এরপরেই বৃহস্পতিবার এফআরআরও অফিসাররা জোহানসনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান কোচি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট বিল্ডিংয়ে। ইংরেজি দৈনিক দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে নরওয়ের ওই বাসিন্দা জানান তাঁর সঙ্গে এফআরআরও অফিসারদের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বকে ‘খারাপ অভিজ্ঞতা’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে এক ফেসবুক পোস্টে জোহানসন এই দেশকে ‘সুন্দর’ হিসেবে বর্ণনা করে লেখেন, তাঁর ভারত ভ্রমণকালে আর কোনও ফেসবুক পোস্ট করবেন না। তিনি জানান, এখনও কোচিতেই রয়েছি, তবে যে মুহূর্তে আমার মনে হবে, কোচি থেকে দিল্লি এয়ারপোর্ট রওনা দেব। তাঁর সমস্ত ফেসবুক বন্ধুকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই পোস্টটি শেষ করেন জোহানসন।
এর আগে আইআইটি মাদ্রাজের এক জার্মান ছাত্রকে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করায় ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। জ্যাকব লিন্ডেন্থাল নামে ওই ছাত্রটি কলেজ ক্যাম্পাসে অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে সংশোধনী নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করেছিলেন।

Comments are closed.