ফের উত্তরপ্রদেশে ঘটে গেল এক নজিরবিহীন ঘটনা। সম্মান বাঁচাতে নিজের মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে ফেলে এল বাবা মা। কুড়ি বছরের মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ায় এই ঘটনা আড়াল করতে তাকে কুপিয়ে খুন করে রেললাইনে ফেলে আসেন বাবা মা।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে। সেখানে আল বাপুরে রেল লাইনের ধার থেকে একটি পরিচয়বিহীন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর মৃতদেহ কার তা জানার চেষ্টা চলতে থাকে। কিছুদিন পর মেয়েটির বাবা কমলেশ কুমার যাদব নিজেই স্বীকার করে নেন যে ওই মৃতদেহ তার মেয়ের এবং তারা নিজেরাই তাকে খুন করেছেন।
অন্যদিকে আবার নিজেই মেয়ে নিখোঁজ এবং তাকে খুন করা হয়েছে এই অভিযোগ এনেছিলেন কমলেশ কুমার যাদব। সেই ভিত্তিতে থানায় রিপোর্ট লেখা হয়। এরপরই পুলিশ তদন্তে নামে। যে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছিল তাতে ইউজিসি করে স্পষ্ট দেখা যায় যে মেয়েটি গর্ভবতী ছিল। পরে কমলেশ স্বীকার করে মৃতদেহ টি তাদের মেয়ের। প্রথমদিকে তারা স্বীকার করেননি যে খুন তারাই করেছেন । কিন্তু এরপর পুলিশের জেরার মুখে পড়ে মেয়েটির বাবা-মা নিজেরাই স্বীকার করেন যে তারাই লোকলজ্জার ভয়ে নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে কুড়ি বছরের গর্ভবতী মেয়েকে খুন করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ২৮ অক্টোবর রাতের দিকে মেয়েটির বাবা-মা জানতে পারেন যে তাদের মেয়ে ছয় মাসের গর্ভবতী। বারবার জিজ্ঞেস করা হলেও এ সন্তান কার তা বলতে রাজি হয়নি মেয়েটি। শেষ পর্যন্ত গর্ভপাত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও মেয়েটির গর্ভাবস্থা ছয় মাস পেরিয়ে যাওয়ায় সেখানেও সফল হননি বাবা মা। এর পরেই তারা এক ভয়ানক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে রাতের অন্ধকারে মেয়েকে রেললাইনের ধারে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করেন কমলেশ যাদব ও তার স্ত্রী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই হাতরাসের ঘটনা সকলকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। হাথরাসের এর পর আবার ফের একটি নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল উত্তরপ্রদেশ বলে মনে করছেন অনেকেই।