ইতিহাসের সামনে! তবু ‘ফাইনাল’-এর আগে ক্ষোভের আগুন পিয়ারলেসে

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা পিয়ারলেসের। তবু কলকাতা লিগের শেষ ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী হতে পারছে না এই ছোট দল। শেষবার ১৯৫৮ সাল। তিন প্রধানের বাইরে গিয়েছিলো কলকাতা লিগ। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টার্ন রেল। ৬১ বছর পর সেই ইতিহাস ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পিয়ারলেসের সামনে। শুক্রবার রেনবো এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। এই জয়ের ফলে কলকাতা লিগ টেবিলে শীর্ষে তারা। ইস্টবেঙ্গল এবং পিয়ারলেস, দুই দলেরই ১০ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ ২০ পয়েন্ট। কিন্তু গোল পার্থক্যে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে পিয়ারলেস। ক্রোমাদের গোল পার্থক্য ১১। সেখানে ইস্টবেঙ্গলের ৭। অর্থাৎ রবিবার দুপুরে শেষ ম্যাচে পিয়ারলেস যদি জর্জ টেলিগ্রাফকে হারিয়ে দেয়, তাহলে কাজটা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়বে ইস্টবেঙ্গলের জন্য। পিয়ারলেস যদি এক গোলে জেতে, ইস্টবেঙ্গলকে কাস্টমসের বিরুদ্ধে জিততে হবে ৬ গোলে।
তবে কলকাতা লিগের সামনে দাঁড়িয়েও একদমই স্বস্তিতে নেই পিয়ারলেস। কোচ থেকে ফুটবলার সবাই চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ আইএফএ-এর সূচি নিয়ে। শুক্রবার ম্যাচ খেলে আবার রবিবার নামতে হবে পিয়ারলেসকে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে। ফুটবল বিজ্ঞানকে তোয়াক্কা না করে, কার্যত গায়ের জোরে তাদের খেলতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে দাবি পিয়ারলেস কর্তাদের। দলের কোচ জহর দাস একরাশ অভিমান নিয়ে বলছেন, ‘আমরা প্রতিবাদ করছি না। করেই বা কি হবে? বড় দলকে সুবিধা পাওয়ানোই তো নিয়ম। সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে। তবে জর্জ টেলিগ্রাফ ম্যাচটা কিছুটা হলেও সহজভাবে একটাই কারণে, ওদের চ্যাম্পিয়ন হওয়া বা অবনমন বাঁচানো, কোনও লক্ষ্যই নেই।’ দলের মূল ভরসা এবং কলকাতা লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রোমা বলছেন, ‘কেউ চায় না বড় দল ছাড়া অন্যদল চাম্পিয়ান হোক। বারাসাত মাঠে একটা ম্যাচ খেলার পর তিন দিন ন্যূনতম বিশ্রাম দরকার। কিন্তু আমরা সেটা পাচ্ছি না। সবাই চেষ্টা করছে যাতে বড় দল চ্যাম্পিয়ন হয়।’

Comments are closed.