মুখে হরিবোল ধ্বনী, দেবীকে নিবেদন মুকুট, হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান ওড়াকান্দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থানে গেলেন তিনি। ঢাকা থেকে দেড়শ কিলোমিটার দূরে ওড়াকান্দি, মতুয়া সমাজের সবচেয়ে বড় পীঠস্থান। এখানে মতুয়া মহাসংঘের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দির রয়েছে। সেখানে ভাষণ দেন তিনি। এদিন ভাষণে মোদীর মুখে উঠে আসে মতুয়া পরিবারের বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কথা। রাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচন চলাকালীন মোদীর ওড়াকান্দি সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

শুক্রবারই বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। করোনা আবহে প্রায় ১৫ মাস পর বিদেশ সফরে গিয়েছেন তিনি। শনিবার ওড়াকান্দিতে যান তিনি। প্রধানমন্ত্রী পুজো দেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে। ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের মন্দির দর্শন করেন তিনি। এরপর একটি একটি সভা করেন মোদী। মতুয়াদের গুরু হরিচাঁদ ঠাকুর। সেখানে তিনি হরিচাঁদ ঠাকুরের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, নারী শিক্ষার প্রসারে গুরূত্বপূর্ণ অবদান ছিল হরিচাঁদ ঠাকুরের। মোদী জানান, উত্তর ২৪ পরগণার ঠাকুরনগরে বড়মার স্নেহ পেয়েছেন তিনি।

এই পবিত্র মুহূর্তের প্রতীক্ষায় ছিলাম আমি। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বাংলাদেশে এসে এখানে আসার ইচ্ছা জানিয়েছিলাম। আমার সেই ইচ্ছা আজ পূরণ হল। আমি নিয়মিতভাবে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গ পেয়েছি। ঠাকুরবাড়ির দর্শন লাভের জন্য তাঁদের আশীর্বাদ রয়েছে।

সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালি মন্দির ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম। কথিত আছে এখানে সতীর হাত পড়েছিল। এরপর এখানে মন্দির তৈরী হয়। এই মন্দির প্রায় ৪০০ বছরের বেশি পুরানো। প্রধানমন্ত্রী দেবীকে মুকুট পরান, দেবীকে শাড়ি নিবেদন করেন। মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজার্চনা করেন তিনি।

মোদীর বলেন, ভারত বিকাশের মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চিরজীবী হবে। হরিনাম দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি

Comments are closed.