‘অমিত শাহ আমার দেখা সেরা ওভাররেটেড রাজনীতিবিদ!’ জিতে উঠেই কটাক্ষ পিকের

অমিত শাহ আমার দেখা সেরা ওভাররেটেড রাজনীতিবিদ। হাতে হাজার রসদ থাকলেও তিনি পরপর কেবল ব্যর্থ হয়েছেন। 

মোদী-শাহ বনাম মমতার লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর কঠিন লড়াইয়ে প্রবল প্রতাপশালীকে ধরাশায়ী করে মোক্ষম খোঁচা দিলেন মমতার রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর। যা বললেন তাতে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে অমিত শাহের চাণক্য উপাধি! 

ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে চাণক্য নামে জনপ্রিয় অমিত শাহকে পিকের কটাক্ষ, উনি অত্যন্ত সাধারণ মানের রাজনৈতিক ম্যানেজার। 

দ্য টেলিগ্রাফের ন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এডিটর সঙ্কর্ষণ ঠাকুরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর আরও বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মত ব্যক্ত করেছেন। তীব্র সমালোচনা করেছেন নির্বাচন কমিশনের। তাঁর অভিযোগ, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে ম্যারাথন ৮ দফায় ভোট করেছে কমিশন। তাঁর দাবি, বাংলায় বিজেপি যে পরিমাণ সাম্প্রদায়িক প্রচার করেছে, তা নজিরবিহীন। কিন্তু কমিশন সেটা বন্ধ করতে কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে বলে শুনেছেন? তবে পিকের মূল খোঁচা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে। 

২০১৪ পরবর্তী বিজেপির সাফল্যের পিছনে তাঁর অবদান ষোলোআনা বলেই দাবি করেন বিজেপির তাবড় নেতা। মূলত তাঁর মস্তিষ্কে ভরসা রেখেই নাকি গোটা দেশে বিজেপির এমন ঝড়। তিনি মোদীর ডেপুটি অমিত শাহ। যে অমিত শাহ বাংলায় ২০০ আসন জিতছেন বলে দাবি করে আসছিলেন একেবারে শুরু থেকে। বাংলায় বিজেপির পুরো লড়াইয়ের ব্লুপ্রিন্টও নাকি অমিত শাহের নিজের হাতে তৈরি। যদিও ফল বেরোলে দেখা যায়, বিজেপি নিজেই হাফ হয়ে গেছে। ধরাছোঁয়ার বাইরে তৃণমূল। 

এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে মোদী-শাহের কার্যকারিতা নিয়ে। জিতে উঠে সেই কাঁটা ঘায়ে কার্যত নুন ছিটিয়ে দিলেন তৃণমূলের নির্বাচনী পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। গুরুতর প্রশ্ন তুললেন অমিত শাহের রাজনৈতিক বোঝাপড়া নিয়ে। 

সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোরের দাবি, অমিত শাহের হাতে কী ছিল না! নরেন্দ্র মোদীর মতো বড় নেতা, অফুরন্ত রসদ, সঙ্ঘ সমর্থিত বিশাল পার্টি নেটওয়ার্ক, সমস্ত এজেন্সি সেই সঙ্গে সরকারি সহযোগিতা, সবচেয়ে বড় কথা অতি বাধ্য নির্বাচন কমিশনকে হাতে পেয়েও বাংলায় এভাবে হেরে গেলেন! এত কিছু থাকা সত্ত্বেও যদি সেনাপতি ব্যর্থ হন তাহলে আর তাঁকে চাণক্য বলি কী করে? বলেন পিকে। 

এখানেই থামেননি। তাঁর দাবি, মোট ৩ বার অমিত শাহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। ৩ বারই গো হারা হেরেছেন শাহ। ২০১৫ সালে বিহার, তারপর দিল্লি এবং সর্বশেষ বাংলা, বলেন প্রশান্ত কিশোর। মমতা ব্যানার্জির ভোট কুশলীর মন্তব্য, অমিত শাহ এই কাজের ক্ষেত্রে বারবার শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকী পিকে বলেন, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে অমিত শাহকে সম্মান করার কোনও কারণ দেখি না। 

Comments are closed.