রাগ নয়, ভালোবাসা দিয়ে ইভিএমের বোতাম টিপুন, অমিত শাহের পাল্টা ট্যুইট প্রশান্ত কিশোরের

রাগ নয়, ভালোবাসা দিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ইভিএমের বোতামে চাপ দিন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে কটাক্ষ করে ট্যুইট ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের।
দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে ভোট দিয়ে শাহিনবাগ সমস্যার সমাধান করুন, রবিবার দিল্লির বাবরপুরের জনসভায় এমনই মন্তব্য করেছিলেন অমিত শাহ। দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজের পর নির্বাচনী জনসভায় অমিত শাহের ঘোষণা ছিল, ভোটের দিন সমস্ত রাগ ঢেলে দিয়ে প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে ইভিএমের বোতাম টিপবেন। বাবরপুরের রাগের এই ‘কারেন্ট’ যেন গিয়ে শাহিনবাগে লাগে। কিন্তু ইভিএমে ‘রাগের’ বহিঃপ্রকাশ ঘটার আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাতে এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। সভায় এনআরসি ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন করে বিজেপি সমর্থকদের হাতে গণপিটুনি খেতে হয় এক ব্যক্তিকে। মঞ্চ থেকে অমিত শাহের বারবার নিষেধ সত্ত্বেও ব্যক্তিকে পিটিয়েই চলেন বলে উঠে এসেছে একটি ভাইরাল ভিডিওতে।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জবাবে সোমবার সকালে সদ্য প্রাক্তন বিজেপি সভাপতিকে খোঁচা দিয়ে একটি ট্যুইট করেন প্রশান্ত কিশোর। সেখানে তিনি লেখেন, ভালোবাসা নিয়ে ইভিএম মেশিনের নির্দিষ্ট বোতামটি টিপতে হবে। যাতে ‘জোরকা ঝটকা ধীরে সে লাগে’, অর্থাৎ, জোরালো অভিঘাত যেন মসৃণভাবে হয়। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট এই ট্যুইটে আরও লেখেন, ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব যাতে ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে না পড়ে সে বিষয়টি দেখতে হবে।


আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি ভোটকে সামনে রেখে জোর প্রচার চালাচ্ছে তিন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আম আদমি পার্টি, বিজেপি ও কংগ্রেস। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপকে হারিয়ে দিল্লির দখল নিতে এবার মরিয়া অমিত শাহরা। রবিবার সেই ঝাঁঝই শোনা যায় বিজেপির প্রাক্তন জাতীয় সভাপতির গলায়। শাহিন বাগে এনআরসি, এনপিআর ও নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের যোগ্য জবাব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অমিত শাহের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আপের হয়ে ট্যুইট বার্তা দিলেন প্রশান্ত কিশোর।

গতবার মুখ পোড়ার পর এবার দিল্লি দখলে বদ্ধপরিকর বিজেপি। আর তাই শাহিনবাগকে সামনে রেখে খোলাখুলি মেরুকরণের খেলায় নেমে পড়েছেন অমিত শাহরা, অভিযোগ কংগ্রেসের। আর অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলছেন, অবস্থা বেগতিক বুঝেই বল প্রয়োগে ইভিএম গুবলেট করার পথ নিচ্ছে দিশেহারা বিজেপি।

Comments are closed.