বিপুল নিরাপত্তার বেড়াজাল সত্ত্বেও পুলওয়ামায় ভোট পড়ল মাত্র ২.১১ শতাংশ, কাশ্মীরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন

জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ান ও পুলওয়ামায় ভোটগ্রহণের কোনও বুথ দেখলে যুদ্ধের সময় সেনার তৈরি করা বাঙ্কার বলে ভুল হতে পারে। থিকথিক করছিল আধুনিক অস্ত্র কাঁধে ঝোলানো নিরাপত্তারক্ষীরা। তা সত্ত্বেও, সোমবার অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রের এই দুই জেলায় ভোট পড়ল মাত্র ২.৮৮ এবং ২.১১ শতাংশ, যা জম্মু-কাশ্মীরের ভোটগ্রহণের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। পুলওয়ামা ও শোপিয়ানের ২৫ শতাংশের বেশি বুথে কোনও ভোটই পড়েনি বলে খবর।
চলতি বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ৪০ জন জওয়ানের। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পাল্টা জবাব দিতে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক করে ভারতীয় সেনা এবং সেনার কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের সরকারের সাফল্য হিসেবে দাবি করে নিয়ম করে প্রত্যেকটি জনসভায় প্রচার করছেন মোদী-অমিত শাহরা। কিন্তু যে পুলওয়ামাকে কেন্দ্র করে এত প্রচার, সেই পুলওয়ামার অধিকাংশ বাসিন্দাই ভোটকেন্দ্রের দিকেই পা বাড়ালেন না।
পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হওয়া আদিল দারের পরিবার থেকে বা তার গ্রাম গুন্ডিবাগের কোনও বাসিন্দাই ভোট দেননি। বুথে বুথে বিশাল নিরাপত্তাবাহিনী দিয়েও অধিকাংশ ভোটারকে বুথমুখী করা যায়নি। বরং এই আঁটোসাটো নিরাপত্তার মধ্যেও শোপিয়ান ও পুলওয়ামার বুথে পেট্রল বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ।
পঞ্চম দফার নির্বাচনে জম্মু কাশ্মীরে ভোট পড়েছে মাত্র ১৯.০৫ শতাংশ। আর অনন্তনাগে কেন্দ্রে এই দফায় ভোট পড়েছে মাত্র ২.৩৮ শতাংশ। ২০১৪ সালে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রে মোট ২৮.৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল।

Comments are closed.