তিন রাজ্যে বিজেপির থেকে মুকুট ছিনিয়ে সিংহাসন দখল করেছে কংগ্রেস। আর হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে বিজেপিকে কোণঠাসা করে বেশ আত্মবিশ্বাসী রাহুলও। সেই ‘আত্মবিশ্বাসের’ ছাপই মঙ্গলবার দেখা গেল সংসদে। কৃষক স্বার্থ থেকে বেকারত্ব, নোটবন্দি থেকে রাফাল দুর্নীতি একের পর এক অভিযোগ তুলে বিজেপিকে জেরবার করলেন রাহুল।
যতক্ষণ না কৃষকদের ঋণ মুকুব করা হচ্ছে ততক্ষণ প্রধানমন্ত্রীকে ঘুমোতে দেবো না, ঘোষণা কংগ্রেস সভাপতির। বিজেপির থেকে ক্ষমতা
দখল করে ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতি মতো দুই রাজ্যের কৃষি ঋণ মুকুব করে দিয়েছে নতুন গঠিত কংগ্রেস সরকার। সেই সূত্র ধরে রাহুল বলেন, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রতিশ্রুতি পালণ করেছি। রাজস্থানেও কৃষক ঋণ মুকুব করবে রাজ্য সরকার। বাকি রাজ্যগুলিতেও কৃষকদের স্বার্থে লড়বে কংগ্রেস। যতক্ষণ না কৃষকের স্বার্থরক্ষা হচ্ছে ততক্ষণ নরেন্দ্র মোদীকে না দেবো ঘুমোতে, না দেবো বিশ্রাম করতে, তোপ রাহুলের।
মঙ্গলবার পার্লামেন্টে বিরোধীদের কটাক্ষ রাহুলের, ‘দেখা আপনে কাম শুরু হো গিয়া’, অর্থাৎ, দেখেছেন তো কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
তাঁদের তিন রাজ্যে জয়কে কৃষকের জয় বলে অভিহিত করে রাহুল বলেন, কৃষকদের ১ টাকা ঋণ মুকুব করার সাহস দেখাতে পারেনি মোদী
সরকার। কিন্তু ‘বন্ধুদের’ পকেটে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভরে দিয়েছে।
এতেই থামেননি। রাহুল জানান, সারা দেশে কৃষকদের স্বার্থের কথা ভাবে কংগ্রেস এবং কেন্দ্র সরকারকেও তাঁরা কৃষকদের কথা ভাবতে বাধ্য
করবেন। দেশের ১৫ জন শিল্পপতি বন্ধুর কথা ভাবেন এবং তাঁদের পকেট কেমন করে ভরানো যায় সেই চিন্তাতেই মশগুল মোদী, তীব্র আক্রমণ রাহুলের। দেশের মধ্যে মোদী দুটো ভারত তৈরি করেছেন বলে দাবি কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের। একদিকে দেশের গরিব কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী, বেকার আর একদিকে ১৫ জন শিল্পপতির স্বার্থ।
Comments