বিনিয়োগ নেই, চাহিদা কমছে, আকাশ থেকে আসবে আর্থিক বিকাশ! কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ শিল্পপতি রাহুল বাজাজের

ক্রমশ কমতে থাকা চাহিদা এবং বেসরকারি বিনিয়োগে বিপুল ঘাটতির জন্য এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলে, আর্থিক নীতির তীব্র কটাক্ষ করলেন বাজাজ অটোর চেয়ারম্যান রাহুল বাজাজ।

বাস্তব পরিস্থিতিকে সরকার স্বীকার করুক কিংবা অস্বীকার, একটা ব্যাপার পরিষ্কার, বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং আইএমএফের তথ্য বলছে, দেশে গত ৩-৪ বছরে বৃদ্ধির হার তলানিতে ঠেকেছে।  সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য রাহুল বাজাজের। যে কোনও সরকারের মতোই এই সরকারও নিজের হাসি মুখ ধরে রাখার চেষ্টা করছে, কিন্তু এভাবে বাস্তবকে চাপা দেওয়া যাচ্ছে না। বলেও মন্তব্য করেন বাজাজ অটোর অশীতিপর চেয়ারম্যান।

গত সপ্তাহে আইএমএফ বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপির হার ০.৩ শতাংশ কমিয়ে ৭ শতাংশ ধরেছে। এর মূল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে চাহিদার তলানিতে পৌঁছনো। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলে কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য নীতিকে একহাত নিয়েছেন দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি রাহুল বাজাজ। তাঁর মতে, একে চাহিদা কমছে তার উপর দেশে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ শূন্য, এই পরিস্থিতিতে বৃদ্ধি আসবে কোথা থেকে? আকাশ থেকে নিশ্চয়ই পড়বে না।

গোটা বিশ্বেই গাড়ি শিল্পে প্রবল মন্দা। সেই আঁচ এসে পড়েছে ভারতের গাড়ি শিল্পেও। দেশের অন্যতম সেরা টু হুইলার প্রস্তুতকারক বাজাজ অটোর গায়েও লেগেছে মন্দার প্রভাব। সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় রাহুল বাজাজ শেয়ার হোল্ডারদের বলেন, ২০১৯ অর্থবর্ষ আমাদের কাছে অর্থনৈতিকভাবে দুর্দান্ত কোনও সময় নয়। বরং উল্টোটা বললেই সঠিক বলা হয়।

পরিস্থিতির এমন অবনতির কারণ হিসেবে রাহুল বাজাজ সরকারি উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন। তাঁর বক্তব্য, বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের তরফে উদ্যোগ যেমন চোখে পড়েনি ঠিক তেমনই চাহিদার মানোন্নয়নেও সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি। আর এই দুয়ের মিলনের ফলে ক্রমেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে।

সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবছর প্রথম ত্রৈমাসিকে টু হুইলার বিক্রি ১২ শতাংশ কমে হয়েছে ৫.০১ মিলিয়ন ইউনিট। যেখানে গতবছর এই সময় সেই সংখ্যাটি ছিল ৫.৬৭ মিলিয়ন ইউনিট। কমার্শিয়াল ভেহিকলের বিক্রিও নজিরবিহীনভাবে ১০ শতাংশ কমেছে।

Comments are closed.