লক্ষ্য বিজেপির বিরুদ্ধে বৃহত্তর বিরোধী জোট, রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে চন্দ্রবাবু নাইডু

সামনে কয়েকটি রাজ্য বিধানসভা ভোট, তারপরই ২০১৯ সালের লোকসভা। ভোট যতই এগিয়ে আসছে, তত বৃদ্ধি পাচ্ছে বিরোধী শিবিরের জোট তৎপরতা। বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান তথা অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। মনে করা হচ্ছে আসন্ন তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়বে কংগ্রেস ও টিডিপি। এদিন তাই দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে জোট ও আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী ডিসেম্বরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তেলেঙ্গানায়, সেখানে ১১৪ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ৯৫ ও টিডিপি ১৪ টি আসনে জোট বেঁধে লড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
পাশাপাশি, বিজেপিকে হারাতে ২০১৯ সালের আগে গোটা দেশে বৃহত্তর বিরোধী জোট গড়ে তোলার যে প্রক্রিয়া চলছে, সেবিষয়েও দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। চন্দ্রবাবু নাইডু এর আগেই জানিয়েছিলেন, দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে বিজেপিকে হারাতে বৃহত্তর বিরোধী জোট গঠন করতেই হবে। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা না মেলায় চলতি বছরের মার্চেই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে টিডিপি।
এদিন রাহুল ছাড়াও চন্দ্রবাবু নাইডু দেখা করেন লোকতান্ত্রিক সমাজবাদী পার্টির নেতা শরদ যাদব ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লার সাথে। নাইডুর সাথে বৈঠকের পর শরদ যাদব জানিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের জোটবদ্ধ হতেই হবে। সিবিআই, আরবিআই-এর সঙ্গে এই কেন্দ্রীয় সরকার কী করছে তা সবাই দেখছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দিল্লি সফরে এলেন টিডিপি সুপ্রিমো। এর আগে তিনি দেখা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গেও ইতিমধ্যেই তাঁর বৈঠক হয়েছে।

Comments are closed.