গোবর ও গো-মূত্রের স্টার্টআপকে ৬০ শতাংশ সরকারি অনুদানের ঘোষণা কামধেনু আয়োগের

গো সম্পদের বাণিজ্যিকরণের স্বার্থে এবার গো-মূত্র এবং গোবর নিয়ে স্টার্টআপকে বিশাল সরকারি অনুদানের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ। দুগ্ধজাত পদার্থ ছাড়া গরুর মূত্র এবং গোবরকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করতে যে সমস্ত স্টার্টআপ উৎসাহ প্রকাশ করবে, তাদের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত অনুদানের কথা জানিয়েছেন নবগঠিত রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভ কাঠিরিয়া।

আমরা চাই, তরুণ প্রজন্ম দুগ্ধজাত পদার্থ ছাড়াও গরুর বর্জ্য নিয়েও বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা করুক। এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাই বিপুল অনুদানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।  অনুদানের অঙ্ক নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু না জানালেও, সূত্রের খবর, প্রাথমিক পুঁজিতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কামধেনু আয়োগের তরফে। গো-মূত্র কিংবা গোবরের ঔষধিগুণের পাশাপাশি, তা চাষের কাজেও লাগানো যায়। এজন্যই আমাদের উচিত তরুণ প্রজন্মকে এই কাজে উৎসাহী করে তোলা। জানিয়েছেন বল্লভ কাঠিরিয়া।

গুজরাতের গান্ধীনগরে ইডিআইআইয়ের পড়ুয়া এবং শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠক করেন কাঠিরিয়া। সেখানেই তিনি গো-কেন্দ্রীক বিজনেস মডেলের কথা বলেন। পাশাপাশি তিনি জানান, শুধু স্টার্টআপকেই নয়, গো-মূত্র এবং গোবর নিয়ে গবেষণার জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে মোদী সরকার রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ প্রতিষ্ঠা করে। বরাদ্দ করা হয় ৫০০ কোটি টাকা। দফতর তৈরির পরই বল্লভ কাঠিরিয়া একটি গো ট্যুরিজম সার্কিটের কথাও বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরালা এবং গোয়াকে নিয়ে এই সার্কিট তৈরির ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্তও হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে এদিন তা নিয়ে অবশ্য তিনি কিছু জানাননি।

Comments are closed.