আড়াই দিনের বিজেপি সরকারের পতন এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করতে না পেরে আস্থা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিএস ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগে কর্ণাটকে সরকার গড়ার পথে এগোচ্ছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। কর্ণাটকে বিজেপি’র এইভাবে প্রকাশ্য মুখ পোড়ায়, বিরোধী কংগ্রেস যে কতটা বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেল রাহুল গান্ধীর বক্তব্যে। শনিবার কর্ণাটক বিধানসভায় ইয়েদুরাপ্পা নিজের হার স্বীকার করে নেওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস সভাপতি। সেখানে তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নাম করে বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী নিজেই দুর্নীতি।’ তাঁর অভিযোগ, বিজেপি আরএসএস ছাড়া দেশের আর কোনও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে মানে না। কিন্তু কর্ণাটকে আজকের ঘটনা প্রমাণ করল বিজেপির টাকা এবং ক্ষমতার ঔদ্ধত্যের থেকেও বড় সংবিধান। প্রধানমন্ত্রী দেশের কোর্ট এবং সংবিধানের থেকে বড় নন। এদিন জাতীয় সংগীত শুরু হওয়ার আগেই যেভাবে বিজেপি বিধায়করা এবং স্পিকার বিধানসভা কক্ষ ছেড়ে বেড়িয়ে যান তারও কড়া সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী।
কর্ণাটকে বিজেপির এই পরাজয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব। সিপিএম এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছে, বিজেপির দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তি পরাজিত হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল জানিয়েছেন, সংবিধানকে পরাজিত করার যে চেষ্টা বিজেপি চালাচ্ছিল, সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এবং অমিত শাহ দেশের গণতন্ত্রকে তামাশায় পরিণত করতে চেয়েছিলেন, তা প্রতিহত হয়েছেন। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী জানিয়েছেন, এদিনের ঘটনা বিজেপি’কে জোড়া ঘা দিয়েছে, ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে তাদের অসৎ পরিকল্পনা ব্যার্থ হয়েছে।