শেহলা রশিদের স্বস্তি, দেশদ্রোহিতা মামলায় ৫ ই নভেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতারিতে রক্ষাকবচ আদালতের

আপাতত স্বস্তি পেলেন শেহলা রশিদ। সোমবার দিল্লির একটি আদালত উপত্যকার রাজনৈতিক নেত্রী তথা জেএনইউয়ের ছাত্র আন্দোলনকারী শেহলা রশিদকে দেশদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ প্রদান করেছে। শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে উপত্যকার শোপিয়ানে সাধারণ মানুষের উপর সেনার অত্যাচারের মিথ্যে খবর ট্যুইট করার অভিযোগ উঠেছিল।

সোমবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন শেহলা। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পবনকুমার জৈন জানান, তিনি ৫ ই নভেম্বর মামলাটি শুনবেন। ততদিন পর্যন্ত শেহলাকে গ্রেফতার করতে পারবে না তদন্তকারী সংস্থা, এই নির্দেশও দেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে পুলিশকে তদন্তে সহায়তা করতে হবে শেহলা রশিদকে, একথাও জানিয়েছে আদালত।

গত ১৭ ই অগাস্ট জেএনইউয়ের ছাত্রী তথা জম্মু কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক শেহলা দিল্লিতে কয়েকজন কাশ্মীরির সঙ্গে কথা বলেন। সেই কথোপকথনের ভিত্তিতে পরে তিনি বেশ কয়েকটি ট্যুইট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, সেনাবাহিনীর কর্মীরা কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে। সেনার বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও করেন জেএনইউয়ের ছাত্র নেত্রী। বলেন, প্রয়োজনে প্রমাণ দাখিল করতেও তিনি প্রস্তুত। গত সপ্তাহে শেহলার সেই ট্যুইটকে মিথ্যে বলে দাবি করে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অলখ আলোক শ্রীবাস্তব। মামলার তদন্তভার যায় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে।

সোমবার এই মামলায় তদন্তকারী অফিসার ইন্সপেক্টর বিক্রম আদালতকে জানান, দেশদ্রোহিতায় অভিযুক্ত শেহলা রশিদকে জামিন মঞ্জুর করা হলে, তদন্তের প্রভূত ক্ষতি হয়ে যাবে। পাল্টা শেহলার আইনজীবী বলেন, পুলিশ এখনও পর্যন্ত সেনার তরফে কোনও অভিযোগ পায়নি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে তাঁর মক্কেলকে দেশদ্রোহিতার মত গুরুতর অভিযোগে ফেলা যায়?

দু’পক্ষেরও সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক শেহলা রশিদকে ৫ ই নভেম্বর অবধি গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ প্রদান করে। মামলার পরবর্তী শুনানি সেদিনই।

Comments are closed.