রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গ ইস্যুতে সরব সচিনরা, নীরব ক্যাপ্টন কুল! নেপথ্যে কী?

ধোনি চিরকালই ময়দান বাদে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতেই পছন্দ করেন

রাজধানীর উপকণ্ঠে কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরগরম ট্যুইটার। ঘটনার সূত্রপাত আন্তর্জাতিক পপ তারকা রিহানা ও গ্রেটা থুনবার্গের কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ট্যুইট করা নিয়ে। 

রিহানাদের ট্যুইটের কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সচিন, বিরাট, অনিল কুম্বলের মত ক্রিকেট তারকারা নাম না করে রিহানাদের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘নাক গলানো’র বিরোধিতা করে ট্যুইট করেন। নিজে ট্যুইট না করলেও সচিন, কুম্বলের ট্যুইট রিট্যুইট করেছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। মোটের উপর একই বয়ানে ট্যুইট করেছেন সুরেশ রায়না, রাহানেরাও। কিন্তু তিনি নেই। 

তিনি, মানে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। খেলা ছাড়ার পর ইদানীং ক্যাপ্টেন কুলকে খবরে দেখা যায় না। কিন্তু নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে যখন সচিন থেকে কোহলি, সৌরভ থেকে রাহানে ঘরের ব্যাপারে বাইরের লোকের নাক গলানো নিয়ে সোচ্চার সোশ্যাল মিডিয়ায়, তখন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অধিনায়কও নিজের মত ব্যক্ত করবেন সেটাই কি স্বাভাবিক নয়? 

এমনিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমএসডি যথেষ্ট সক্রিয়। নিজের ফার্ম হাউসে ট্রাক্টর চালাতেও দেখা গিয়েছে ধোনিকে। তাই কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে তাঁর নিজের মতামত থাকলে অবাক হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু মোক্ষম মুহূর্তে কোনও ট্যুইট এলো না রাঁচি থেকে। 

ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য এই ধারণার সঙ্গে একমত নন। তাঁদের বক্তব্য, যেভাবে লাইন দিয়ে প্রাক্তন-বর্তমান তারকারা কার্যত এক বয়ান ট্যুইট করে গিয়েছেন তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট, সচিন বা রাহানের ট্যুইট বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু ধোনি চিরকালই ময়দান বাদে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতেই পছন্দ করেন। আর তাই সবাই যখন সমস্বরে সোচ্চার তখন নীরবে নিজের খেতের পরিচর্চায় ব্যস্ত মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। 

পর্যবেক্ষকদের মতে সচিন-কোহলি-সৌরভের কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়ে একযোগে ট্যুইট ভরপুর অক্সিজেন যুগিয়েছে সরকারকে। কিন্তু এর একটি অন্য দিকও আছে। তাঁরা উদাহরণ দিচ্ছেন সচিনের। বস্তুত সচিনের ট্যুইটার হ্যান্ডলে গেলে দেখা যাবে, নির্দিষ্ট ঐ ট্যুইটের সমর্থনে যত কমেন্ট তার অনেক বেশি সচিনের সমালোচনা করে। অর্থাৎ তাঁদের ট্যুইট কেন্দ্রকে অক্সিজেন যোগালেও তারকাদের ব্যক্তিগত ক্ষতির বহর নেহাত ফেলে দেওয়ার মতো নয়।

একজন অনুরাগী সচিনের লাস্ট টেস্টের টিকিট ছিঁড়ে সেই ছবি ট্যুইট করে লেখেন, আজ থেকে আর সচিন ভক্ত নই। প্রচার থেকে বহু দূরে ধোনি শুনছেন কি? 

Comments are closed.