SC, ST, OBC সেলের পুনর্গঠন তৃণমূলের, পিছিয়ে পড়া জনজাতি উন্নয়নে জোর

রাজ্যে ভোটারদের ৪০ শতাংশ তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও পিছিয়ে পড়া (ওবিসি) সম্প্রদায়ভুক্ত

পিছিয়ে পড়া জনজাতি SC, ST এবং OBC সেল পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। জানানো হয়েছে পিছিয়ে পড়া জনজাতির জন্য যে এসসি, এসটি, ওবিসি সেল গঠন করা হয়েছিল, এবার সেই সেলকে ভেঙে তিনটি পৃথক সেল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পৃথক এসসি সেল এবং এসটি সেল গঠনের কথা ঘোষণা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ওসিবি সেলের কথাও ঘোষণা করা হবে।  

তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, রাজ্যের তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া উপজাতিদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া রাজবংশী, মতুয়া এবং নমশূদ্রদের প্রতি সেলের সদস্যদের বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে দলের নেতাদের বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 

পৃথক সেলে নতুন কিছু রদবদল হয়েছে এবং নতুন সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নতুন সভাপতি হয়েছেন দেবু টুডু। সিনিয়র সহ সভাপতি বুলু চিক বারিক, জেমস কুজুর, সুকুমার মাহাতো, পরেশ মুর্মু, রাজীব লোচন সরেন এবং জ্যোৎস্না মান্ডি। এছাড়াও সহ সভাপতি হয়েছেন পবনকুমার লাকরা, জোশেফ মুন্ডা, ছোটন কিস্কু। সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন পাশাং লামা। 

উল্লেখ্য, রাজ্যে ভোটারদের ৪০ শতাংশ তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও পিছিয়ে পড়া (ওবিসি) সম্প্রদায়ভুক্ত। ক্ষমতায় আসার পর থেকে আদিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। অন্যদিকে বাংলা দখল করতে এই পিছিয়ে পড়া জনজাতিকেই হাতিয়ার করতে চাইছে পদ্ম শিবির। রাজ্য সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ অমিত শাহকে আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন সারতে দেখা গিয়েছে। এই আবহে পিছিয়ে পড়া জনজাতির দিকে বাড়তি নজর দিতে শুরু করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। গত ডিসেম্বরে বনগাঁয় গিয়ে মতুয়াদের উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন মমতা ব্যানার্জি।  মতুয়াদের বহুদিনের দাবি ছিল শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে ছুটি ঘোষণা করা হোক। সেই দাবিও পূরণ করেছেন মমতা। 

এছাড়াও আদিবাসী ভোটকে ধরে রাখতে বিগত বিধানসভা ভোটের আগেই বাজেটে তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য বিশেষ প্রকল্প নিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। যার মধ্যে একটি তফশিলি জাতির জন্য ”বন্ধু” প্রকল্প। আরেকটি ”জয় জোহার” প্রকল্প। তৃণমূলের দাবি, যার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন চার লক্ষ আদিবাসী ও তফশিলি সম্প্রদায়ের মানুষ।

Comments are closed.