আজ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন পরিচিত সমাজকর্মী, কে তিনি, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে! মুর্শিদাবাদের হুমাউন কবীর ফের তৃণমূলে

আজ শুক্রবার রাজ্যের এক সমাজকর্মী তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। কে তিনি তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এদিন সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুপুর ২টো নাগাদ অত্যন্ত পরিচিত একজন সমাজকর্মী যোগ দেবেন দলে। তাঁকে দলে স্বাগত জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি।

কিছুদিন আগেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরেছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের নেতা বিপ্লব মিত্র। তারপর আলিপুরদুয়ারের কয়েকজন বিজেপি নেতাও যোগ দেন তৃণমূলে। তবে তাঁরা সকলেই রাজনৈতিক ব্যক্তি। এবার রাজ্যে পরিচিত এক সমাজকর্মী তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে যোগ দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে হুমায়ুন কবীরের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দলের চেয়ারম্যান সুব্রত সাহা।

হুমায়ুন কবীরের দলবদলের সঙ্গে সঙ্গে রেজিনগর, শক্তিপুর ইত্যাদি এলাকা থেকে তাঁর বেশ কয়েকজন অনুগামীও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

হুমায়ুন কবীর বিজেপিতে যাওয়ার পর ওই এলাকায় সংগঠন অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছিল। লোকসভা ভোটে জয় না পেলেও ভোট মার্জিন অনেকটাই কমেছিল। কিন্তু তিনি দল ছেড়ে দেওয়ায় বিধানসভা ভোটের আগে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তিনি কয়েক মাস আগে থেকেই দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন না। প্রসঙ্গত, এনআরসি ইস্যুতে মুর্শিদাবাদ উত্তাল হওয়ার প্রেক্ষিতে বিজেপি থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন হুমায়ুন। গত কয়েক মাসে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতেও তিনি যোগ দেননি। অবশ্য হুমায়ুন কবীরকে তৃণমূলে নেওয়ার ক্ষেত্রেও দলের অন্দরে টানাপোড়েন চলছিল বলে খবর।

২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে রেজিনগর থেকে বিধায়ক হন হুমায়ুন কবীর। এর পর মতবিরোধের জেরে কংগ্রেস ছেড়ে ২০১২ সালের নভেম্বরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। মন্ত্রিত্বও পান তিনি। তবে উপ-নির্বাচনে রেজিনগর থেকে হেরে যান। মন্ত্রিত্বও চলে যায়। সেই সময় তৃণমূলের সাংগঠনিক পদ সামলানোর ভার দেওয়া হয় তাঁকে।  কিন্তু সেখানেও তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধ হয়। দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর।

তারপরে আবার তিনি কংগ্রেসে ফিরে যান। সেখান থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরেও বেশি দিন ঘর করতে না পেরে আবার তৃণমূলে ফিরে গেলেন। হুমায়ুন বলছেন, যাঁরা বলছেন আমার বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, তাঁদেরকে আগামী দিনে কাজের মাধ্যমে সব কিছু বুঝিয়ে দেব। এই জেলায় আমরা নতুন ইতিহাস তৈরি করব। তৃণমূলকে এক নম্বর শক্তিতে পরিণত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

 

Comments are closed.